বিষয়টি নিশ্চিত করে তদন্ত কমিটির প্রধান খাদিজা তাহেরা ববি বলেন, জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। অধিকতর তদন্তের অংশ হিসেবেই গণশুনানির মাধমে প্রত্যদর্শীদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করা হচ্ছে। গ্যাস, বিদ্যুৎ, মসজিদ নির্মাণসহ বিভিন্ন বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত কাজ এগিয়ে চলছে। বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিল করা হবে।
অপরদিকে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা বিস্ফোরণের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করছেন। তিতাস গ্যাস ট্রান্সিমিশন কোম্পানির তদন্ত কমিটির প্রধান ও নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. মফিজুল ইসলাম জানান, তদন্ত কমিটির তদন্তের অংশ হিসেবেই মাটি খুঁড়ে তিতাস গ্যাসের পাইপলাইনে লিকেজ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্যই মসজিদের তিন পাশের মোট পাচঁটি জায়গায় গর্ত করে দেখা হয়েছে। একইসঙ্গে মূল গ্যাসের পাইপলাইনেরও সন্ধান করা হয়।
তিনি বলেন, মসজিদের উত্তর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া তিতাস গ্যাসের সংযোগ লাইনে দুটি লিকেজ (ফুটো) পাওয়া গেছে। পশ্চিম তল্লা এলাকায় ৯০ দশকে গ্যাস লাইনের সংযোগ দেওয়া হয়। সে সময় রাস্তার উপর দিয়ে গ্যাস লাইন সরবরাহ করা হয়েছে। তখন এই জায়গাটি অনেক নিচু ছিল। পরবতীতে মাটি ফেলে উঁচু করা হয়েছে। মসজিদের ভেতরে আর কোনও গ্যাস লাইনের সংযোগ রয়েছে কিনা তা মাটি খুঁড়ে আগামীকাল মঙ্গলবার আবারও দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে এশার নামের সময় এই বিস্ফোরণ ঘটে। ফরজ নামাজের মোনাজাত শেষে অনেকে সুন্নত ও অন্য নামাজ আদায় করছিলেন। এ সময় বিস্ফোরণে মসজিদের ভেতরে প্রায় ৪০ জন মুসল্লি দগ্ধ হন। দগ্ধদের মধ্যে প্রায় ২৭ জন মারা গেছেন। বাকিদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।