আ. লীগ নেতার বিরুদ্ধে বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

ভাঙচুর করা জিনিসপত্রনরসিংদীর রায়পুরায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহবুবুল আলম শাহীনের বিরুদ্ধে কাউসার আহমেদ নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কথা কাটাকাটির জের ধরে শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) উপজেলার শ্রীরামপুর উত্তরপাড়া গ্রামে শাহীনের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি দল এই হামলা চালায় বলে জানা গেছে। যদিও শাহীন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এ ঘটনায় শুক্রবার রাত ১২টার দিকে শাহীনসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে রায়পুরা থানায় মামলা করেন কাউসার।

ভাঙচুর করা জিনিসপত্র

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার সন্ধ্যায় শাহীনের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন ব্যক্তি দা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কাউসারের বাড়িতে প্রবেশ করে। বাড়িতে ঢুকেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে তারা। এসময় বাড়ির লোকজন ভয়ে ঘরের দরজা আটকে দেয়। এক পর্যায়ে দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে হামলা চালায় তারা। এসময় থাই গ্লাসের জানালা, দরজা, বেসিনসহ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়। পরে কাউসারকে মারধর করে দেড় লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। বাড়ির লোকজনের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসতে শুরু করলে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

কাউসার জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শাহীনের সঙ্গে দোকান ভাড়া বিষয়ে তার কথা কাটাকাটি হয়।  এই ঘটনায় তিনি উত্তেজিত হয়ে তার অনুসারীদের নিয়ে তার বাড়িতে ঢুকে এই হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।

ভাঙচুর করা জিনিসপত্র

এ বিষয়ে শাহীন বলেন, ‘হামলার ঘটনার সঙ্গে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই। অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে তাদের পূর্ব বিরোধ মিটাতে তারা আমার কাছে আসেন। পরে বিরোধ মীমাংসায় তারা সন্তুষ্ট হতে না পেরে নিজেরা ভাঙচুর করে মিথ্যা মামলা করেছে।’ 

রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির জানান, সামান্য কথা কাটাকাটি থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। শুক্রবার রাতে অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এই ঘটনায় জড়িত মাইন উদ্দীন নামের একজন শনিবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।