প্রেম করে বিয়ের সাত মাসের মাথায় লাশ হলো শিমু!






টাঙ্গাইলের বাসাইলে প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করার সাত মাসের মাথায় লাশ হলো শিমু আক্তার (১৬)। রবিবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার কাউলজানী চকপাড়া এলাকায় স্বামী রাব্বি মিয়ার বাড়ি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। বাসাইল থানার এস আই নূরুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কাউলজানী চকপাড়া এলাকার ভ্যানচালক হাসান মিয়ার মেয়ে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী শিমু আক্তার ও পাশের বাড়ির প্রবাসী পোটল মিয়ার ছেলে দশম শ্রেণির ছাত্র রাব্বি মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জানাজানি হলে দুই পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় প্রায় সাত মাস আগে তারা পালিয়ে বিয়ে করে। একপর্যায়ে দুই পরিবার বিষয়টি মেনে নেয়। এরপর তাদের সংসার ভালোভাবে চললেও সম্প্রতি রাব্বির পরিবার শিমুকে যৌতুকের দাবিতে মারধর শুরু করে। সর্বশেষ শনিবার (১৭ অক্টোবর) বিকালেও মারধরের বিষয়টি শিমু তার মা-বাবাকে জানায়। এরপর রবিবার (১৮ অক্টোবর) সকালে শিমু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর দেওয়া হয় তার পরিবারকে।
নিহতের স্বজনের আহজারি শিমুর বাবা হাসান মিয়া বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়েকে তার শাশুড়ি ও স্বামী মিলে যৌতুকের দাবিতে মারধর করে আসছিল। গতকাল শনিবারও তার শাশুড়ি বিলকিস বেগম শিমুকে মারধর করে। পরে রবিবার সকালে শিমু ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে খবর দেয় তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার মেয়ের লাশ ঘরের মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় রয়েছে। আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেনি, তারা শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাইল হোসেন বলেন, প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে মাত্র কয়েক মাস আগে তাদের বিয়ে হয়। শুনেছি সংসার ভালোই চলছিল। মেয়েটির মৃত্যুর বিষয়ে সঠিক তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
বাসাইল থানার এস আই নূরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় নিহতের লাশ ঘরের মেঝেতে শোয়ানো অবস্থায় ছিল। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে ঘটনার মূল রহস্য জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।