কৃষক হত্যার বিচার: একজনের মৃত্যুদণ্ড, পাঁচজনের যাবজ্জীবন

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে কৃষক মো. ছিদ্দিক মিয়া হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন দিয়েছে আদালত। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাষ্ট্রপক্ষের এপিপি অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ ইমাম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি স্থানীয়দের সঙ্গে বিরোধে কৃষক ছিদ্দিক মিয়াকে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনার পরদিন ২৩ জানুয়ারি নিহতের বড় ভাই মানিকুজ্জামান বাদী হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখ করে বাজিতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি পুলিশ ও সিআইডি তদন্ত করে। সবশেষ ২০১৬ সালের ৩০ জুন সিআইডির এসআই মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম তদন্ত শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চূড়ান্ত চার্জশিট দাখিল করেন।

সাক্ষ্য-জেরায় দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের চারজন একই পরিবারের সদস্য। এরমধ্যে মো. জুয়েল মিয়া (২৭) পেয়েছেন মৃত্যুদণ্ড, আর তার বাবা জজ মিয়া(৫২) , মা রহিমা খাতুন (৪৭) ও ছোটভাই কাকন মিয়া (২০)সহ দুই প্রতিবেশী মাহবুব হাসান রঞ্জু (৩৫) ও সাইফুল ইসলামের (৩৫) হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তারা সবাই বাজিতপুর উপজেলার বড়মাইপাড়া হিলচিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

এছাড়া রায়ে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে।

সাইফুল ইসলাম ও কাকন মিয়া পলাতক, রায় ঘোষণাকালে বাকি আসামিরা সেখানে উপস্থিত ছিল।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২২ জানুয়ারি বিকালে বাজিতপুর উপজেলার বরমাইপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তায় বাথরুম নির্মাণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এর জেরে আসামিরা মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে ছিদ্দিক মিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে।

পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাস্তায় ছিদ্দিক মিয়ার মৃত্যু হয়।