ছাত্রকে বলাৎকার, হেফাজত নেতা গ্রেফতার

কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ১১ বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে বড়খাঁরচর আদর্শ নূরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও স্থানীয় হেফাজত নেতা মুফতি ইয়াকুব আলীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে কুলিয়ারচর থানা পুলিশ জেলার তাড়াইল উপজেলার সেকান্দরনগর গ্রাম থেকে স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানায়, গত ৩০ ও ৩১ মার্চ পর পর দুই রাত বড়খাঁরচর আদর্শ নূরানি মাদরাসার নূরানি তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রকে বলাৎকার করেন ইয়াকুব। বলাৎকারের ঘটনা কাউকে না বলতে শিশুটিকে কোরআন শরিফ ছুঁইয়ে শপথ করান তিনি। ঘটনা জানাজানি হলে পুরো এলাকায় বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়।

পাশবিক নির্যাতনের শিকার শিশুটির বাবা মুফতি ইয়াকুব আলীর বিরুদ্ধে কুলিয়ারচর থানায় গত বুধবার মামলা করেন। তবে ঘটনার পরে ইয়াকুব আলী পালিয়ে যান। মামলার পর তাকে ধরতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ। অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে আজ দুপুরে তাকে তাড়াইল থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

কুলিয়ারচর থানার উপ-পরিদর্শক মো. আবুল কালাম বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে প্রথমে তার এক সহযোগীকে নরসিংদীর রায়পুরা থেকে আটক করা হয়। পরে ওই ব্যক্তির সহযোগিতা নিয়ে তাকে তাড়াইল উপজেলার সেকান্দরনগর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। 

প্রসঙ্গত, হেফাজত নেতা মামুনুল হকের রিসোর্টকাণ্ডের পর গত ৩ এপ্রিল রাতে কুলিয়ারচর সদরে হেফাজতের নেতাকর্মীরা যে তাণ্ডব চালায়, তার নেতৃত্ব দেন এই মুফতি ইয়াকুব আলী। তিনি কুলিয়ারচর উপজেলার উসমানপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদিরের ছেলে।