ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে। সোমবার (১০ মে) শবে কদরের ছুটি থাকায় সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। লকডাউনের কারণে দূরপাল্লার আন্তঃজেলা গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ঘরমুখো মানুষকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এই দুই মহাসড়ক ধরে বাড়ি ফেরা ১৭ জেলার মানুষ বিকল্প যান হিসেবে মোটরসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্স, পিকআপভ্যান, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ বিভিন্ন ছোট ছোট যানবাহন ব্যবহার করছেন। তবে এসব যানবাহনে চার থেকে পাচঁগুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। এছাড়া নিজস্ব গাড়িতেও অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড, শিমরাইল এবং কাচপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের তেমন চাপ না থাকলেও চার-পাঁচগুণ ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। সকাল থেকেই এ দুটি মহাসড়কে ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের ভিড় দেখা গেছে। বেলা বাড়ার পাশাপাশি এ ভিড় কেবল বেড়েছেই। তবে মানুষের চাপে কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না।
পারভেজ বলেন, বছরের একটা দিন সময় পাই মা-বাবার সঙ্গে কাটানোর। তাই চেষ্টা করছি বাড়ি যাওয়ার। এছাড়া গ্রামের বাড়িতে বেশ কিছু কাজ জমে আছে। অফিস খুলে ফেললে আর বাড়ি যেতে পারবো না। তাই যে করেই হোক বাড়ি যেতে হবে।
ঢাকা থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে শিমরাইল মোড়ে এসেছেন আনোয়ার-মায়েশা দম্পতি, যাবেন ফেনী। আন্তঃজেলা বাস চলাচল বন্ধ থাকায় ভেঙে ভেঙে ফেনী যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। আনোয়ার বলেন, গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় তিন থেকে চারগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
যাত্রীদের অভিযোগ গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকায় মাইক্রোবাসের চালকরা যাত্রীদের কাছে থেকে যে যেভাবে পারছে ভাড়া আদায় করছে। আর বাড়ি যেতেই হবে, তাই যাত্রীরাও চালকদের কথামতো ভাড়াগুনে নিজ নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, যারা ঈদ করতে বাড়ি যাওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের প্রতি আমাদের আহবান থাকবে, করোনার এই দুর্যোগের সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, নিজে বাঁচুন, পরিবারের সদস্যদের বাঁচান। যে যেখানে অবস্থান করছেন, সেখানেই ঈদ উদযাপন করুন।
আরও পড়ুন:
পাহারা গলে শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীর ঢল!
চাপ বাড়ছে পাটুরিয়ায়, ৪ ফেরিতে মানুষ ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার
নেই করোনার ভয়, বেপরোয়া মানুষ
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানবাহনের বাড়তি চাপ