জেলে থেকে নির্বাচিত, জেলে থেকেই হারাচ্ছেন কাউন্সিলর পদ!

জেলে থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্যারোলে মুক্তি নিয়ে শপথগ্রহণও করেছেন। কিন্তু দায়িত্ব পালন করা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। জেলে থেকেই হারাচ্ছেন কাউন্সিলর পদ। ঘটনাটি ফরিদপুরের বোয়ালমারী পৌরসভার।

বোয়ালমারী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে আবারও উপ-নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ওয়ার্ডটির নির্বাচিত কাউন্সিলর স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইনের ব্যত্যয় ঘটানোর প্রেক্ষিতে ফের উপ-নির্বাচনের মুখোমুখি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

জানা গেছে, ওয়ার্ডের নির্বাচিত কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান মোল্যা প্রতারণা মামলায় জেলা কারাগারে কারাদণ্ড ভোগ করায় পৌরসভার কর্মপরিষদের পর পর তিনটি মাসিক সভায় অনুপস্থিত রয়েছেন। এজন্য স্থানীয় সরকার আইনে ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদটি শূন্য হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এমনটি হলে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে কাউন্সিলর পদে তিনবার ভোট দিতে হতে পারে স্থানীয় ভোটারদের। গত ১৬ জানুয়ারি সারা দেশে দ্বিতীয় ধাপের ৬১টি পৌরসভা নির্বাচনে বোয়ালমারী পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

ওই দিন ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ ও ব্যালট পেপার ছিনিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ভোটগ্রহণ স্থগিত করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। পরবর্তীতে ওয়ার্ডটিতে ২৯ জানুয়ারি উপ-নির্বাচনে জেলে থেকে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে ৯৩৮ ভোট পেয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল মান্নান মোল্যা।

বোয়ালমারী পৌরসভার মেয়র সেলিম রেজা লিপন বলেন, ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান মোল্যাকে বার বার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারপরও তিন মাসিক সভায় তিনি অনুপস্থিত। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইনের ৩২-এর উপধারা ১-এর (ক) ও (খ) অনুচ্ছেদের আলোকে মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে অবগত করা হবে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রাণালয় এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।