অমির এজেন্সিতে অভিযান চালিয়ে শতাধিক পাসপোর্ট উদ্ধার

সাভার বোট ক্লাবে পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনার আসামি অমির দক্ষিণখান এলাকার রিক্রুটিং এজেন্সিতে অভিযান চালিয়ে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও সেখান থেকে বিভিন্ন জনের ১০২টি পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়। বুধবার (১৬ জুন) সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মঙ্গলবার গভীর রাতে সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার নামে ওই প্রতিষ্ঠানে এই অভিযান পরিচালনা করে সাভার ও দক্ষিণখান থানা পুলিশ। অভিযানে আটক দুজন হচ্ছে– মশিউর ও বাছির।

সাভার মডেল থানার ওসি বলেন, ‘আসামি অমির দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। তবে এর মধ্যে উত্তরা এলাকার অমির মালিকানাধীন ট্রাভেল এজেন্সিতে অভিযান চালিয়ে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি।’

ওসি জানান, এ ঘটনায় পাসপোর্ট আইনে তিনি নিজে বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়া উদ্ধার করা বিভিন্ন নারী ও পুরুষের পাসপোর্টগুলো অবৈধভাবে এখানে রাখা হয়েছে কিনা এবং    ট্রেনিং সেন্টারের অনুমোদন আছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সাভার বোট ক্লাবএর আগে সাভার থানায় নির্যাতন ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ অজ্ঞাত চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নায়িকা পরীমণি। সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে পরীমণি নিজে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ওইদিনই নাসির উদ্দিন আহমেদ ও অমিসহ পাঁচ জনকে উত্তরা থেকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

মামলার এজাহারে পরীমণি বলেন, গত ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি (৩০), অমি (৪০) ও বনিসহ (২০) দুটি গাড়িযোগে উত্তরার উদ্দেশে রওনা হই। পথে অমি ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে বলে জানায়। অমির কথামতো সবাই রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করাই। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনও এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলে। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। পরে আমার ছোট বোন বনি প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করে এবং বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করি আমরা। টয়লেট হতে বের হতেই এক নম্বর বিবাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ এক নম্বর আসামি মদপানের জন্য জোর করেন। আমি মদপান করতে না চাইলে এক নম্বর আসামি জোর করে আমার মুখে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। এতে আমার সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই।

আরও পড়ুন...

নাসির উদ্দিন মাহমুদ গ্রেফতার

মামলার এজাহারে যা বললেন পরীমণি

পরীমণি জানালেন ধর্ষণচেষ্টায় অভিযুক্তর নাম

আমি যদি মরে যাই সেটা হত্যা হবে, আত্মহত্যা নয়: পরীমণি

যে কারণে সেদিন পরীমণির অভিযোগ নেয়নি পুলিশ