ধর্ষণের কথা আমলে নেয়নি মা, সৎ বাবাকে পুলিশে দিলো কিশোরী

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক কিশেরীকে হাত-পা বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে তার সৎ বাবাকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) রাতে সদর উপজেলার ফতুল্লা থানার মাসদাইর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯-এ কল পেয়ে অভিযুক্ত সৎ বাবা জাবেদ আলী ওরফে শফিক বাবুর্চিকে (৫৫) ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ আটক করে।

আটক জাবেদ বাবুর্চির বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার বাকতা গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত মফিজ উদ্দিন।

নির্যাতনের শিকার কিশোরী একটি হোসিয়ারি কারখানায় কাজ করতো। থানা পুলিশকে সে জানায়, তিন বছর আগে তার বাবা বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যান। বাবা মারা গেলে এক বছর আগে জাবেদ আলী ওরফে শফিক বাবুর্চিকে বিয়ে করেন তার মা। বিয়ের পর থেকে সে মা এবং সৎ বাবার সঙ্গে মাসদাইর এলাকায় একটি রুম ভাড়া নিয়ে বসবাস করে আসছিল। দুই সপ্তাহ আগে তার সৎ বাবা তার হাত-পা বেঁধে মুখ চেপে তাকে ধর্ষণ করে। বিষয়টি সে তার মাকে জানালে তার তা আমলে না নিয়ে তাকে মিথ্যেবাদী বলে দোষারোপ করেন।

পরে বুধবার (২৩ জুন) মধ্যরাতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার সৎ বাবা হাত-পা বেঁধে দ্বিতীয় দফায় তাকে ধর্ষণ করে। সে সময় ঘুম থেকে জেগে উঠে চিৎকার করতে চাইলে মুখ চেপে ধরে আবারও তাকে ধর্ষণ করা হয়। ফের ধর্ষণের বিষয়টি সকালে মাকে জানিয়ে সে তার কর্মস্থলে গিয়ে হোসিয়ারি কারখানার মালিককে বিষয়টি জানায়। পরে বিষয়টি বাড়ির মালিককে জানানো হলে তিনি জরুরি সেবা নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানায়।

ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রকিবুজ্জামান বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পায়। পরে ধর্ষণের শিকার কিশোরীর সৎ বাবাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাবেদ আলী ওরফে শফিক বাবুর্চি ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।