অগ্নিকাণ্ডের ১৫ দিনেও চালু হয়নি আইসিইউ

অগ্নিকাণ্ডের পর ১৫ দিন কেটে গেলেও এখনও চালু হয়নি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)। ফলে আইসিইউ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এ জেলার ১২ উপজেলার করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীরা।

জানা গেছে, গত ১৫ জুলাই টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুনের সূত্রপাত হয় হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা থেকে। ওইদিন ইউনিটের ১০টি শয্যায় থাকা রোগীদের তাড়াহুড়ো করে হাসপাতালের বাইরে নিরাপদ স্থানে রাখা হয়। অক্সিজেন সাপোর্ট না পেয়ে অনেকে রোগীর অবস্থা অবনতি হয়। এমতাবস্থায় একাধিক রোগীকে অন্যত্র রেফার্ড করেন চিকিৎসকরা। এর মধ্যে ওইদিন বাইরে অনেকেরই মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সোহানা নাসরিনকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি প্রতিবেদনে জানায়, আইসিইউতে হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা মেশিনের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার এবং নির্দেশনা অনুযায়ী মেশিন ব্যবহার না করার কারণে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল। প্রতিবেদনটিতে আটটি সুপারিশও করা হয়েছে।

এদিকে এই অগ্নিকাণ্ডের পর ১৫ দিন গেলেও আইসিইউ সেবা চালু করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ফলে এ জেলার মুমূর্ষু রোগীরা এখন আইসিইউ সেবা থেকে বঞ্চিত। বর্তমানে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ৫৬ জন করোনা রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

রোগীর স্বজনদের অভিযোগ, আইসিইউ সেবা বন্ধ থাকায় মুমূর্ষু রোগীদের অন্যত্র রেফার্ড করা হচ্ছে। হাসপাতালে আইসিইউ সেবা না পেয়ে অনেকেরই মৃত্যু হচ্ছে।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শফিকুল ইসলাম সজিব বলেন, ‘আইসিইউ এখনও চালু হয়নি। আইসিইউ প্রস্তুতের কাজ অনেকটাই শেষের দিকে। আগামী শনিবার নাগাদ চালু হতে পারে।’

বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) জেলায় করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ৫৩০টি নমুনা পরীক্ষায় ১২৫ জনের দেহে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৪৬৯ জনে। আর মৃত্যু হয়েছে ২০৯ জনের।