পদ্মায় ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ ২ শিক্ষক

ফরিদপুরে পদ্মা নদীতে ভ্রমণে গিয়ে ট্রলারডুবিতে দুই শিক্ষক নিখোঁজ হয়েছেন। বুধবার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় ফরিদপুর সদরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট (নৌ বন্দর) সংলগ্ন নর্থ চ্যানেল ইউনিয়ন এলাকায় এ ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, ফরিদপুর শহর থেকে বিকাল ৩টার দিকে ট্রলার ভাড়া করে ভ্রমণে পদ্মায় যান ১৪ জন শিক্ষক। ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফেরার পথে জেলা সদরের ডিক্রিরচর ইউনিয়নের তাইজউদ্দিন মুন্সীর ডাঙ্গীর নদীর পাড় এলাকায় তীব্র স্রোতের মুখে ৩নং পন্টুনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে শিক্ষকদের বহন করা ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ১২ জন শিক্ষক সাঁতার কেটে পাড়ে উঠলেও আজমল ও আলমগীর নামের দুই শিক্ষক নিখোঁজ রয়েছেন। এলাকাবাসী ও ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

ফরিদপুর সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনিরুল ইসলাম জানান, স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৪ শিক্ষক বিকালে পদ্মা নদীতে আনন্দ ভ্রমণে যান। বাড়িতে ফেরার পথে প্রচণ্ড স্রোতের কারণে তাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে সারদা সুন্দরী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আজমল হোসেন ও ফরিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আলমগীর হোসেন নিখোঁজ রয়েছেন।

ভ্রমণে যাওয়া ফরিদপুর সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক ও সাংবাদিক রেজাউল করিম বলেন, বিকালে ভ্রমণে বের হই। প্রচণ্ড স্রোতের কারণে হঠাৎ ট্রলার একটি পন্টুনের পাশে ধাক্কা লাগে। তখনই ট্রলারটি উল্টে যায়। আর কিছু মনে নেই, পরে জ্ঞান ফিরে দেখি নদীর পাড়ে লোকজন ঘিরে ধরে আছে।

ফরিদপুর ২নং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. রাকিব হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়েই আমরা এসে স্থানীয়দের সহায়তায় উদ্ধার কাজে অংশ নেই। ১৪ জন শিক্ষক ছিলেন এবং চালকসহ ট্রলারটি ডুবে যায়। ১৩ জনকে উদ্ধার করতে পারলেও দুই শিক্ষককে এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সুভাষ বাড়ৈ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা শুরু করি। স্থানীয় এলাকাবাসী এবং পুলিশও আমাদের উদ্ধারকাজে সহযোগিতা করে। ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিক্ষক আলমগীর ও আজমল হোসেন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে এখনও অভিযান চলছে।