মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

ফরিদপুরে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যার দায়ে জিন্দার আলী ওরফে পলাশ (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জিন্দার আলী বোয়ালমারীর রুপাপাত ইউনিয়নের কদমী গ্রামের কালাম শেখের ছেলে। সে কৃষিকাজ করতো। রায় ঘোষণার সময় জিন্দার আদালতে উপস্থিত ছিল।

আদালত সূত্র জানায়, ২০১০ সালের ২০ মে আলিম প্রথম বর্ষের ওই শিক্ষার্থীকে (২০) বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণ করা হয়। এর পর কাস্তে দিয়ে গলা কেটে তাকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ মামলা তদন্তকালে আকলিমা নামের এক নারীকে আটক করে রিমান্ডে নেয়। পরে এই মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে।

বাদীর নারাজির পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) দায়িত্ব দেয়। ফরিদপুরের অফিসার ইনচার্জ ডিবির নির্দেশে এসআই শেখ আবু বক্কর মামলার তদন্তকালে বাদীসহ সাক্ষীদের জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং আসামি জিন্দার আলীকে গ্রেফতার করেন। পরে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয় সে।

রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট স্বপন পাল বলেন, ‘মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। একই আদেশে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’