৫ মাস পর শিমুলিয়ায় স্পিডবোট চালু

দীর্ঘ পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর বৈধ কাগজপত্র নিয়ে শিমুলিয়া ঘাট থেকে দুই রুটে আবার চলাচল শুরু করলো স্পিডবোট। বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) বিকালে ১০১টি স্পিডবোট বৈধ কাগজপত্র নিয়ে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি রুটে চলাচল শুরু করে। 

গত ৩ মে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৬ যাত্রী প্রাণ হারান। এরপর থেকে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করেছিল স্থানীয় প্রশাসন ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ।

শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক ও সহকারী বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, করোনার মধ্যে প্রথমে সরকারের বিধিনিষেধ ও গত ৩ মে স্পিডবোট দুর্ঘটনার কারণে এতদিন স্পিডবোট চলাচল বন্ধ ছিল। বৈধভাবে চলাচলের জন্য যত ধরনের কাগজপত্র রয়েছে যেমন; রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, সার্ভে সনদ ও রুট পারমিট তা হাতে পাওয়ার পর ১০১টি স্পিডবোট চলাচল শুরু করলো। স্পিডবোটের আগে বৈধ কাগজপত্র ছিল না। এখন কাগজপত্র থাকায় প্রতিটি বোট এবং চালকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যাবে।

তিনি আরও বলেন, মোট ১৪৫টি স্পিডবোট রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছে। এ পর্যন্ত ১০১টি স্পিডবোট বৈধ কাগজপত্র পাওয়ায় এগুলোই আপাতত দুই রুটে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত চলবে।

দীর্ঘদিন পর স্পিডবোট চালু হওয়ায় খুশি চালক ও যাত্রীরা। চালক যুবায়ের বলেন, দীর্ঘ পাঁচ মাস বেকার বসেছিলাম। এখন খুবই আনন্দিত। কারণ স্পিডবোট চালাতে পারছি আর স্পিডবোট চালানোর সব বৈধ কাগজপত্রও পেয়েছি।

যাত্রীরা জানান, এই রুটে যে লঞ্চ চলে তার পরিবেশ খুব একটা ভালো না। আবার সময়ও বেশি লাগে। যদিও স্পিডবোটে কিছুটা ঝুঁকি রয়েছে এবং ভাড়াও বেশি। তবু সময় বাঁচাতে স্পিডবোটে পদ্মা পাড়ি দেই। এটাই সুবিধা।