পাবজি খেলা নিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোর সংশোধনাগারে

অনলাইন প্লাটফর্মে পাবজি খেলার বিরোধের জেরে সিংগাইর উপজেলায় এক কিশোরকে হত্যার ঘটনায় ঢাকার জেলার নবাবগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। এ ছাড়া লাইসেন্সকৃত (নবায়ন) অস্ত্র দিয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে সিংগাইর থানায় অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে।

হত্যা মামলায় অভিযুক্ত কিশোরকে এবং অস্ত্র আইনে কিশোরের মা ও ভগ্নিপতিকে আসামি করা হয়েছে। পৃথক দুই মামলায় গ্রেফতার কিশোর গাজীপুর কিশোর সংশোধনাগারে এবং মা ও ভগ্নিপতিকে মানিকগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পাবজি খেলা নিয়ে সিংগাইর উপজেলায় দুই কিশোরের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কৌশলে রাজুকে সাইকেলে করে গ্রামের পাশে ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার শোল্লা ইউনিয়নের রুপারচর এলাকায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত কিশোর। সেখানে কালীগঙ্গা নদীর তীরে কাশবনে রাজুকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। আহত রাজু শনিবার সকালে ঢাকার সাভারে এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
 
এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী অভিযুক্ত কিশোরের বাড়ি ঘেরাও করে তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় অভিযুক্ত কিশোরের ভগ্নিপতি লাইসেন্স করা একটি শর্টগান দিয়ে স্থানীয় লোকজনকে ভয়ভীতি দেখান। এতে স্থানীয় লোকজন আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে স্থানীয়রা। এতে তিন জন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ কিশোর অভিযুক্ত কিশোর, তার মা ও ভগ্নিপতিকে শর্টগানসহ আটক করে থানায় নিয়ে যায়। 

এ ঘটনায় রবিবার (১৭ অক্টোবর) অভিযুক্ত কিশোরের ভগ্নিপতি ও মায়ের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে পুলিশ বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় মামলা করে।
 
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন, রবিবার বিকালে দুই আসামিকে মানিকগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকের নির্দেশে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে নবাবগঞ্জ থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, রবিবার দুপুরে নিহত কিশোর রাজুর বাবা মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। সন্ধ্যায় অভিযুক্ত কিশোরকে গাজীপুরে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে।