চুরির কথা বলে দেওয়ায় কিশোরকে হত্যার অভিযোগ

সাভারের আশুলিয়ায় টাকা চুরির কথা বলে দেওয়ায় ফেরদৌস (১৪) নামে এক কিশোরকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৮ অক্টোবর) সকালে বাইপাইল এলাকায় সড়কের পাশ থেকে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হৃদয় নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ফেরদৌস শেরপুর জেলার সদর থানার মুন্সিপাড়া গ্রামের বাসচালক রইচ উদ্দিনের ছেলে। আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় পরিবারের সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থেকে আশুলিয়া ক্লাসিক পরিবহনে কাজ করতো সে ।

পুলিশ জানায়, প্রতিদিনের মতো রবিবার রাতেও আব্দুল্লাহপুর থেকে বাইপাইল পৌঁছানোর পর বাস পার্কিং করা হয়। পরে গাড়ির মধ্যেই কন্ডাক্টর হৃদয় ও হেলপার পারভেজ ঘুমিয়ে পড়ে। ফেরদৌস গাড়িতেই ছিল। ভোরে ঘুম ভাঙলে হৃদয় বুঝতে পারে, তার পকেট থেকে ৫০০ টাকা চুরি হয়েছে। পারভেজ টাকা চুরি করেছে বলে জানায় ফেরদৌস। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার এক পর্যায়ে পারভেজকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে হৃদয়। এ সময় পারভেজ ক্ষিপ্ত হয়ে ফেরদৌসকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। 

পরে দুই জন মিলে ফেরদৌসের লাশ সড়কে ফেলে রেখে পুলিশকে দুর্ঘটনার খবর দেয়। সাভার হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর সন্দেহ হলে আশুলিয়া থানায় অবহিত করে। পরে সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে এবং হৃদয়কে আটক করে।

ফেরদৌসের বোন রুবিনা বেগম বলেন, ‘আমার বাবা আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের চালক। কয়েকদিন আগে ফেরদৌসকে আশুলিয়া পরিবহনে কাজে পাঠানো হয়। বাসের হেলপার ও কন্ডাক্টর আমার ভাইকে হত্যার পর লাশ সড়কে ফেলে রাখে। পরে ভোরে তারাই পুলিশকে খবর দিয়ে আনে।’

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ৫০০ টাকা চুরির কথা বলে দেওয়ায় হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।