ফেরিডুবির ঘটনা তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি

মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার পাঁচ নম্বর ঘাটে যানবাহন নিয়ে শাহ আমানত ফেরিডুবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকালে ফেরিডুবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে ডুবে যাওয়া ফেরি শাহ আমানত আশির দশকে নির্মিত। ফেরির মাস্টার শরিফুল ইসলাম লিটন বলেন, চার মাস আগে ফেরিটি নারায়ণগঞ্জ থেকে মেরামত শেষে পাটুরিয়ায় আসে। তবে সম্প্রতি তলদেশে একটি ফুটো তৈরি হয়। 

৪০০ টনের ফেরি উদ্ধারে কাজ করছে ৬০ টন সক্ষমতার হামজা

তিনি আরও বলেন, ফেরিটি বুধবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ১৭টি পণ্যবাহী ট্রাক ও ১৬টি মোটরসাইকেল নিয়ে পাটুরিয়া অভিমুখে রওনা দেয়। এর কিছু সময় পর তলদেশের ফুটো দিয়ে পানি উঠতে শুরু করে। কিন্তু বিষয়টি যখন টের পাই তখন আর কিছু করার ছিল না।

এদিকে ফেরিটির সার্ভে সনদও হালনাগাদ ছিল না বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসির এজিএম (মেরিন) আব্দুস সাত্তার।

‘ফেরির তলায় ফুটো ছিল’

প্রত্যক্ষদর্শী গাড়িচালকরা বলেন, সকাল পৌনে ১০টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটের ৫ নম্বর পন্টুনে ফেরিটি ডুবতে শুরু করে। ফেরিতে থাকা ১৭টি পণ্যবাহী ট্রাকের মধ্যে মাত্র তিনটি নামতে পারে। বাকি ১৪টি পণ্যবাহী ট্রাক ও মোটরসাইকেলসহ ফেরিটি পদ্মায় ডুবে যায়।  

ফেরিতে থাকা কেমিক্যাল বহনকারী কার্ভাডভ্যানের চালক মো. সেলিম হোসেন জানান, তার গাড়িটি নামার শেষ মুহূর্তে ফেরিটি ডুবে যায়। তিনি বলেন, গাড়ির দুই চাকা ছিল পন্টুনে, আর বাকি চাকাগুলো ছিল ফেরিতে। এই সময় ফেরিটি ডুবে যায়।

সার্ভে সনদ হালনাগাদ ছিল না শাহ আমানতের

সুশান্ত নামে এক ট্রাকচালক বলেন, তার গাড়িটি ওই ফেরিতে ছিল। বেনাপোল থেকে নিউজপ্রিন্ট নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলেন তিনি। চোখের সামনে ফেরিটি ডুবে যায়।