নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জলাশয়ে অ্যাম্বুলেন্স, প্রাণ গেলো মামা-ভাগনের  

হেমায়েতপুর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের মিতরা এলাকার কালীবাড়ি মোড়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স সড়কের পাশের জলাশয়ে ডুবে গেছে। এতে অ্যাম্বুলেন্সের দুই যাত্রী পানিতে ডুবে মারা যান। নিহত দুই যাত্রী সম্পর্কে মামা-ভাগিনা। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতরা হলেন, ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার পিলারচর এলাকার শাহিন প্রামানিক ও তার ভাগনে রফিক খান।

মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ডিউটিম্যান ইমরান শিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শুক্রবার দিবাগত রাতে গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে পাঁচ যাত্রী নিয়ে ফরিপুরের উদ্দেশে ছেড়ে আসে অ্যাম্বুলেন্সটি। রাত ৩টার দিকে মিতরা এলাকার কালীবাড়ী মোড়ে পৌঁছে অ্যাম্বুলেন্সটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের জলাশয়ে পড়ে ডুবে যায়।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সূত্র মতে, দুর্ঘটনার সময় গাড়িটিতে চালক ও হেলপারসহ মোট সাত জন আরোহী ছিলেন। এদের মধ্যে পাঁচ জন গাড়িটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেও পেছনের সিটে থাকা দুই যাত্রী আটকা পড়ে পানিতে ডুবে মারা যান। দুর্ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবরটি জানালে উদ্ধারকারী একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পানির নিচে ডুবে থাকা গাড়ির ভেতর থেকে আটকে পড়া দুই যাত্রীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন।

দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সের এক যাত্রী বলেন, গাড়ির মধ্যে ড্রাইভার হেলপারসহ মোট সাত জন ছিলাম। গাড়িটি হঠাৎ রাস্তা থেকে পানির মধ্যে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ড্রাইভার আর হেলপার বেড়িয়ে যায়। আমরা বাকি যে তিন জন বেঁচে গেছি আমাদের সবার বাড়ি একই এলাকায়। রাত ২টার দিকে আমাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে যাওয়ার জন্য গাবতলী টার্মিনালে গাড়ির অপেক্ষা করছিলাম। কোনও যানবাহন পাচ্ছিলাম না, তখন একজন দালালের মাধ্যমে এই অ্যাম্বুলেন্সটিতে বাড়ি ফেরার জন্য উঠি। আমরা তিন জন অ্যাম্বুলেন্সটিতে ওঠার আগেই মারা যাওয়া এই দুইজন ছিল। দুর্ঘটনার সময় আমাদের সিটের পাশের জানালা খোলা ছিল। এ কারণে আমরা তিন জন গাড়ি ডুবে যাওয়ার আগেই বেরিয়ে আসতে সক্ষম হই। যে দুইজন মারা গেছে উনাদের সিট বেল্ট বাধা ছিল। তাই উনারা চেষ্টা করেও বের হতে পারেননি।