যুবকের হাতকড়া পরা লাশ উদ্ধার

নরসিংদীর হাজীপুর এলাকার হাড়িধোয়া নদী থেকে সুজন সাহা (২৬) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) সকালে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

সুজন সাহা হাজিপুর দাসপাড়া এলাকার অজিত সাহার ছেলে। শেকেরচরে একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন তিনি। তার বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

নিহতের পরিবারের দাবি, গ্রেফতারের পর পুলিশ তাকে নির্যাতন করে। এতে মৃত্যু হলে হাতকড়া পরা অবস্থায় নদীতে ফেলে দেয়। তবে পুলিশের দাবি, গ্রেফতার এড়াতে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে নদীতে ঝাপ দেন সুজন। এতে সদর থানার এক এসআইসহ দুই পুলিশ সদস্য। পরে নদী থেকে সুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।

সুজনের মা অজন্তা সাহা বলেন, গতকাল রাত ১২টায় তাকে থানায় দেখা করতে বলে পুলিশ। সুজন ভয় পেয়ে বাসা থেকে পালিয়ে যান। সকালে অজন্তা সাহা জানতে পারেন, সকাল ৭টায় শহরের ব্রাহ্মন্দী এলাকা থেকে তাকে ধরে হাজীপুর বাবুলের চানাচুরের কারখানার পেছনে নিয়ে মারধর করে পুলিশ। পরে সেখানেই মৃত্যু হলে পুলিশ হাতকড়া পরা অবস্থায় নদীতে ফেলে দেয়।

নরসিংদী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান বলেন, সুজনের বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতি ও মাদকের ৮-১০টি মামলা। তিনি ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি। মূলত ওয়ারেন্ট তামিল করতেই সদর থানা পুলিশের এসআই মোফাজ্জল সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আজ সকালে সুজনকে ধরতে বের হন।

পরে হাজীপুর এলাকার বাবুল শাহর চানাচুরের কারখানার ভেতর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এক হাতে হাতকড়া পড়াতেই সুজন পকেট থেকে ছুরি বের করে এসআই মোফাজ্জল, এএসআই সাইফুল ইসলাম ও কনস্টেবল স্বপনকে ছুরিকাঘাত করে পালানোর চেষ্টা করে। এরপর পার্শ্ববর্তী হাড়িধোয়া নদীতে ঝাঁপ দেন। সাঁতরে নদী পার হতে না পেরে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান সাহেব আলী।