নারায়ণগঞ্জে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা, সংঘর্ষে ৩ পুলিশ সদস্য আহত

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদের জাঙ্গাল এলাকায় নির্বাচনের আগের রাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১০ নভেম্বর) দিবাগত রাতে ১২টার সংঘর্ষ শুরু হয়, চলে ঘণ্টাব্যাপী। এতে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।

পুলিশ বলছে, একদল বহিরাগত সন্ত্রাসী কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করছিল। তাদের প্রতিহত করতে শতাধিক রাবার বুলেট, শর্টগানের গুলি ছুড়েছে পুলিশ। তিন জন পুলিশ সদস্য আহত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ জনকে আটক করা হয়।

তবে কেন্দ্র দখলের চেষ্টায় কোন প্রার্থীর লোকজন জড়িত ছিল সে বিষয়ে পুলিশ এখনও নিশ্চিত করে কিছু বলেনি। গত রাতের ঘটনায় ধামগড়ে থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

এদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন অভিযোগ করেছেন, ‘সন্ধ্যার পর থেকেই নৌকার প্রার্থী মাসুম আহম্মেদের সমর্থকরা বিভিন্ন কেন্দ্র দখল করে চেষ্টা করে। পরে তারা জাঙ্গাল কেন্দ্র দখলেরও চেষ্টা চালায়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া করে। এ সময় পুলিশ-সন্ত্রাসী ও এলাকাবাসীর মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন আহত হন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন টেলিফোন প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি এই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আয়নাল হকের ছেলে। 

তবে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মাসুম আহম্মেদ পাল্টা প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘কেন্দ্র দখলের দিন কী আর এখন আছে? আর ওটা স্বতন্ত্র প্রার্থীরই এলাকা। কেউ কেন্দ্র দখল করতে গেলে সেটা নিজের এলাকাতেই করবে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এলাকাতে কেন করতে যাবে? স্বতন্ত্র প্রার্থী কামালের সন্ত্রাসী বাহিনী এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’

বন্দর থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘বহিরাগত সন্ত্রাসীরা জাঙ্গাল কেন্দ্রটি দখলের চেষ্টা করে। এতে বাধা দিতে গেলে তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে শতাধিক রাবার বুলেট ও শর্টগানেক গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ জনকে আটক করা হয়েছে।’

ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় তিন জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম পুলিশ সদস্যরা ঢাকায় চিকিৎসাধীন আছেন। কারা এই ঘটনায় জড়িত তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত ঘটনা জানা যাবে। তবে পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। সঠিক সময়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ধামগড় ইউনিয়ন পরিষদে মোট ভোট কেন্দ্র ৯টি ও ভোট কক্ষ ৫৩টি। পুরুষ ভোটার রয়েছে ১০ হাজার ৮০৮ জন এবং নারী ভোটার ১০ হাজার ২২৯ জন।