গাজীপুরের টঙ্গীতে তুরাগ নদীর উপর টঙ্গী ব্রিজ বন্ধ করে দেওয়ায় গত দু দিন ধরে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে লেগে আছে ভয়াবহ যানজট। ব্রিজের একটি স্থানে ঢালাই খসে রড বেরিয়ে গেছে। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচিত হওয়ায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা। যানজটের কারণে ঢাকায় প্রবেশ ও বের হতে বাসগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। এদিকে, শনিবার (১৩ নভেম্বর) বিআরটি প্রকল্পের (সেতু বিভাগের) পরিচালক মহিরুল ইসলাম জানান, আগামী দশ দিনের মধ্যে সেতুর ভাঙা অংশ মেরামত করে চলাচল উপযোগী করা হবে।
বুধবার রাত ১০টার পর থেকে বিআরটি কর্তৃপক্ষ সেতুটি পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ওই মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকেই সৃষ্টি হয় যানজটের। যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ঢাকা-টঙ্গী-কালিগঞ্জ-ঘোড়াশালসহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোর যাত্রীরা। টঙ্গী স্টেশন রোড থেকে ঢাকা অভিমুখী লেনের সব ধরনের যানবাহন সড়কে বাঁশ ও অন্যান্য উপকরণ ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। টঙ্গী স্টেশন রোড হয়ে ইউটার্ন নিয়ে বিকল্প পথে রাজধানীতে প্রবেশ করলেও দীর্ঘ যানজটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পেঁয়াজ ও অন্যান্য খাদ্য উপকরণ ভ্যানযোগে টঙ্গী ব্রিজ পার হওয়ার চেষ্টা করছিলেন জসীম উদ্দিন জানান, ব্রিজের কাছেই বাঁশ দিয়ে বাঁধ দেওয়ায় অন্যদের মতো তিনিও আটকে যান। এরপর কুলি দিয়ে বস্তাগুলো মাথায় বহন করে টঙ্গী ব্রিজ পার করছেন। তিনি বলেন, ‘উপায় না থাকায় ব্রিজের ওপারে আব্দুল্লাহপুর থেকে আরেকটি ভ্যানে বস্তাগুলো ওঠাতে হবে।’
সরেজমিন দেখা গেছে, টঙ্গী ব্রিজে সড়কের ঢাকা অভিমুখী লেনটি ফাঁকা। উল্টো লেনটিতে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন দাঁড়িয়ে আছে। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর আনুমানিক চার-পাঁচ ফুট করে এগিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে আসা পিকাপভ্যানের চালক রমজান আলী যাবেন ময়মনসিংহে। তিনি জানান, ব্রিজ পার হতে তার সময় লেগেছে তিন ঘণ্টা।
মহিরুল ইসলাম জানান, সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তারা শনিবার ভাঙা ব্রিজটি পরিদর্শনে টঙ্গীতে যাবেন। পরে তাদের মতামত নিয়ে আট-দশ দিনের মধ্যে ব্রিজটির ভাঙা অংশে ঢালাই বা মেরামত করে যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হবে। তখন এ যানজট সমস্যা থাকবে না।