টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার একটি নির্মাণাধীন ভবনে বোমাসদৃশ বস্তু ও চিঠি রেখে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়েছে।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) গোপালপুর পৌরসভার নন্দনপুর বাজার এলাকায় রাজ্জাক মিয়া লিটুর বাসায় এগুলো পাওয়া যায়। খবর পেয়ে সকাল থেকে বাসাটি ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
জানা গেছে, আব্দুর রাজ্জাক ও তার চাচাতো বোন স্কুলশিক্ষক ঝর্ণা বেগম মিলে নন্দনপুর বাজার এলাকায় ভবন নির্মাণ করছেন। পাশেই একটি টিনের ঘরে করে মা রেহেনা পারভীনসহ পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন ঝর্ণা। সকালে নির্মাণাধীণ বাসার সামনে গিয়ে রিমোট কন্ট্রোল লাল বোমা সদৃশ্য বস্তু দেখতে পান তিনি। পরে তাদের থাকার ঘরের সামনে দুটি চিঠিও দেখতে পান।
চিঠিতে লেখা রয়েছে, ‘আপনার ছেলে ও মেয়েকে বলবেন বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য এক লাখ টাকা ধার্য করা হয়েছে। টাকা না দিলে আপনাদের বিপদ হবে। টাকা নেওয়ার জন্য চার জন পাঠিয়েছি। আপনাদের নতুন বাসার নিচতলায় একটি টাইম বোম রাখছে। বোমা নাড়াচাড়া করবেন না, তাহলে তখনই ফাটবে। আমরা টাকা পাওয়ার পর বোম রিমোর্টের সাহায্যে বন্ধ করে দিবো।’
রেহেনা পারভীনের ভাতিজা আল মাসুদ বলেন, সকালে নির্মাণাধীন ভবনের সামনে বোমাসদৃশ বস্তু দেখতে পান চাচি। বিষয়টি পৌর মেয়রকে অবহিত করা হয়েছে। পরে পুলিশ এসে বাড়ি ঘিরে রেখেছে। ধারনা করা হচ্ছে, কোনও কিশোর গ্যাং অথবা মাদকসেবীরা এই কাজ করতে পারে। এলাকায় কিশোর গ্যাঙের উৎপাতসহ মাদকসেবীদের দৌরাত্ম্য বেশি।
গোপালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, তদন্ত) মামুন ভূইয়া বলেন, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বোমা না অন্য কিছু এই মুহূর্তে কিছুই বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ঢাকা থেকে বোমা ডিসপোসাল টিম আসার পর বস্তুটি নিয়ে কাজ শুরু করা হবে।