পরাজিত দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৪

মুন্সীগঞ্জ জেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের ছোট মোল্লাকান্দি এলাকায় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে কমপক্ষে চার জন আহত হয়েছেন। রবিবার (২৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত থেকে সোমবার (২৯ নভেম্বর) ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণ, বাসাবাড়িতে হামলাসহ এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহত চারজন হলে- ছোট মোল্লাকান্দি গ্রামের মুজিব মোল্লার ছেলে রিফাত (২০), রুহুল আমিনের ছেলে আল আমিন (২৫), মজনু দেওয়ানের ছেলে বাবু দেওয়ান (২৭) ও আব্দুল ফাহাদ খানের ছেলে বাবুল খান (৩২)। 
তাদেরকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব বলেন, ‘দুই পরাজিত সদস্য প্রার্থী নজির হালদার (তালা প্রতীক) ও বাবু বেপারির (মোরগ প্রতীক) সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় পাঁচ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে, এখনও মামলা হয়নি। এলাকায় পুলিশ নিয়োগ করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’

এদিকে, ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২৮ নভেম্বর সকাল থেকে ২৯ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত মোট ৩২ জন আহতকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাদিক আহমেদ জানান, আহতদের অনেকে চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। কয়েকজন এখনও ভর্তি আছেন।

অপরদিকে, পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলী সিদ্দিকের চাচাতো ভাই রিয়াজুল শেখ স্বতন্ত্র প্রার্থীর হামলায় নিহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার।

নিহত রিয়াজুলের স্ত্রী বিলকিছ বেগম অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রথম দফায় রবিবার বিকাল ৩টার দিকে মুক্তারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মারধর মরে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোস্তফার সমর্থকরা। এরপর নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় আনারস প্রতীকের সমর্থকরা দ্বিতীয় দফায় রাত ৮টায় বাড়ির ভেতরে ঢুকে ফের হামলা চালায়। আমার স্বামীকে পিটিয়ে আহত করে। এরপর মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

এ ঘটনায় এখনও কোনও মামলা হয়নি। তবে পুলিশ তিন জনকে আটক করেছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব জানান, রিয়াজুল শেখের লাশ তদন্ত করে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।