২০১১ সাল থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র তিনি। এবারও এ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে গত দুইবারের নির্বাচিত মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী ওপরই আস্থা রেখেছে আওয়ামী লীগ। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের সংসদীয় ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় তার প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হয়।
সেলিনা হায়াৎ আইভীর মনোনয়ন পাওয়ার খবর নারায়ণগঞ্জে ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার রাতে উল্লাসে ফেটে পড়েন দলীয় নেতাকর্মীরা। শহরে, সিদ্ধিরগঞ্জে ও বন্দরে ঢাক-ঢোল ও ব্যান্ড পার্টি নিয়ে দফায় দফায় বের হয়েছে আনন্দ মিছিল। জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে ও রাস্তার মোড়ে মোড়ে মিষ্টি বিতরণ করতে দেখা গেছে।
আনন্দ মিছিল করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম। তাকে দেখতে গিয়ে আইভী বলেন, ‘আল্লাহর দরবারে লাখো-কোটি শুকরিয়া নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচন করার জন্য আমি আবারও দলীয় মনোনয়ন পেলাম। ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রী ও নমিনেশন বোর্ডে যারা ছিলেন তাদের সবাইকে। তারা নারায়ণগঞ্জবাসীর হৃদয়ের স্পন্দন বুঝতে পেরেছেন। নারায়ণগঞ্জবাসীকে অভিনন্দন, আমার উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে অব্যাহত সমর্থন দেওয়ার জন্য।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘এটা খুবই প্রত্যাশিত। অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটেনি। মেয়র তার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রতিদান পেয়েছেন। নেত্রী যাকে মনোনয়ন দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে তার পক্ষে কাজ করবে।’
নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আইভীর দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তিকে স্বাগত জানাই। দল যাকেই দিতো আমরা তার পক্ষেই কাজ করতাম। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিকেই বেছে নিয়েছে বলে মনে করি।’
আইভী ২০০৩ সালে প্রথম নারী হিসেবে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০১১ ও ২০১৬ সালে মেয়র পদে নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।