তৈমুরের নির্বাচনি প্রচারণায় জাতীয় পার্টির ৪ নেতা

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারের নির্বাচনি প্রচারণায় বন্দর উপজেলার চার ইউপি চেয়ারম্যানকে অংশ নিতে দেখা গেছে। এ চার জনই জেলা জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পদে রয়েছেন।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) রাতে তাদের ডেকে তৈমুর আলম খন্দকারের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান নির্দেশ দিয়েছেন। সেলিম ওসমানের দাবি, ‘তিনি কাউকে নির্বাচনি প্রচারণায় নামতে নির্দেশ দেননি। এটি যার যার ব্যক্তিগত বিষয়।’

শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) সকালে সিটি করপোরেশনের বন্দর অংশের ২৫নং ওয়ার্ডের কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের সামনে প্রচারণা চালান তৈমুর। এ প্রচারণায় কলাগাছিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন, মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেন, ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন ও বন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এহসান সঙ্গে ছিলেন। এদের মধ্যে কামাল হোসেন মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব। বাকি তিন জন জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক। প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সময় চার চেয়ারম্যানই মুখে মাস্ক পরে ছিলেন। ইউপি নির্বাচনের আগে এমপি সেলিম ওসমান তাদেরকে নিজের লোক হিসেবে পরিচয় দিয়ে নির্বাচিত করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। 

এ বিষয়ে প্রচারণায় অংশ নেওয়া চেয়ারম্যানদের মোবাইল নম্বরে কল করা হলে কামাল হোসেন ছাড়া বাকিদের নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ও ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন দাবি করেন, মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানুর নির্দেশে তিনি এ নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। তাদের সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনও ভোট নেই। তাই তারা নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিলেও কিছু যায় আসে না।

সেলিম ওসমান বলেন, ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকে দেবো। জাতীয় পার্টি কাউকে সমর্থন দেয়নি। আমার কাছে কেউ সমর্থন চায়নি। চেয়ারম্যানদের তৈমুরের নির্বাচনি প্রচারণায় অংশ নিতে কোনও নির্দেশ দেইনি। তারা নিজ নিজ ইচ্ছায় এ প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।’

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা নির্বাচনি প্রচারনায় অংশ নেওয়া আচরণবিধি লঙ্ঘন কি না- জবাবে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মতিউর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে নির্বাচনি আচরণবিধিতে স্পষ্ট কোনও নির্দেশনা নেই।’

তবে চার ইউপি চেয়ারম্যানের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রচারণায় নামলেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য আনিসুর রহমান দীপু। তিনি বলেন, ‘তাদের নিজেদেরই পাস করতে ঘাম ছুটে গেছে। আইভীর জনপ্রিয়তায় এত ওপরে যে তাদের মতো নানা অভিযোগে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানরা নামলে এখানে কিছু যায় আসে না।’