পোশাকশ্রমিককে ধর্ষণের পর হত্যা: ২ আসামির স্বীকারোক্তি

গাজীপুরের শ্রীপুরে পোশাকশ্রমিক রাশিদা বেগমকে (৪৫) হত্যার ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। শনিবার (৮ জানুয়ারি) রাতে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমজাদ শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।       

বৃহস্পতিবার রাতে শ্রীপুর পৌরসভার লোহাগাছ এলাকা থেকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ওমর ফারুককে (২০) গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তিতে অপর সহযোগী রাব্বিকে (১৯) শুক্রবার রাতে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

হত্যার শিকার রাশিদা শ্রীপুর পৌরসভার মাধখলা গ্রামের রিকশাচালক শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি স্থানীয় ইসরাক স্পিনিং মিলে চাকরি করতেন। গ্রেফতার ওমর ফারুক পৌরসভার লোহাগাছ গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে এবং রাব্বি একই এলাকার হাসমত আলীর ছেলে।

এসআই আমজাদ জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এরপর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।

তিনি আরও জানান, ফারুকের দেওয়া তথ্যমতে জামালপুরে তার বোনের বাড়ি থেকে রাশিদার নাকফুল ও গলার চেন উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ্য, অভিযোগসূত্রে জানা যায়, গত রবিবার (২ জানুয়ারি) সকালে শ্রীপুর পৌরসভার দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকার তালুকদারের ভিটার গভীর গজারি বনে লাকড়ি কুড়াতে যান রাশিদা। সে সময় রাব্বি বনে গরু চরাচ্ছিল এবং ফারুক গরুর জন্য ঘাস কাটছিল। তারা রাশিদাকে একা পেয়ে পেছনে থেকে জাপটে ধরে। রাশিদা চিৎকার দিলে অভিযুক্তরা তার গলায় থাকা ওড়না দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। রাশিদা ও ফারুক একই কারখানায় চাকরি করতেন। ঘটনাটি গোপন রাখতে অভিযুক্তরা রাশিদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ জঙ্গলে পাতা দিয়ে ঢেকে রাখে।