পাংশায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার চার মামলায় ৫০০ আসামি  

রাজবাড়ীর পাংশায় পঞ্চম ধাপে ১০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ শেষ হলেও ফলাফলের পর সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এই সহিংসতার ঘটনায় পাংশা মডেল থানায় পৃথক চারটি মামলায় ৫০০ নারী ও পুরুষকে আসামি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাংশা মডেল থানার ওসি মাসুদুর রহমান।

জানা গেছে, পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষে ভোট গণনার পর সজীব হোসেনকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ৫ জানুয়ারি রাতে বিজয়ী প্রার্থী সজিব হোসেনের সমর্থক ও নৌকার সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। ওই রাতেই বাহাদুরপুর ইউনিয়নে পুলিশের ওপর হামলা, নির্বাচনি সরমঞ্জাম ছিনতাই, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ওপর হামলা, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় পাংশা মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সফুরা খাতুন, মুস্তাফিজুর রহমান, ইমদাদুল হক বাপ্পী বাদী হয়ে পৃথক পৃথক আরও তিনটি মামলা দায়ের করেন ।

বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও বাহাদুরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির শাকিল, সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. সজীব হোসেনসহ ১৫-১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও অন্তত ৫০০ নারী-পুরুষকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাগুলো করা হয়। এ ঘটনায় ওই এলাকার নারী পুরুষদের মধ্যে গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানা গেছে।

পাংশা মডেল থানার ওসি মাসুদুর রহমান বলেন, বাহাদুরপুর ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় পৃথক চারটি মামলায় পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সহিংসতা যেন আর না ঘটে সেজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। 

পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মাদ আলী বলেন, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নেই শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বাহাদুরপুর ইউনিয়নে শেষ সময়ে ভুল বোঝাবুঝিতে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।  তবে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।