‌‘হাতি কাঁধে নিয়ে দৌড় দেবো, নৌকায় উঠতে দেবো না’

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম শামীম ওসমান বলেছেন, ‌‘আমার মনে হয় না নারায়ণগঞ্জে (সিটি নির্বাচনে) বিএনপি-জামায়াতের নৌকা ডুবানোর ক্ষমতা আছে। হাতি সাইজে বড় হতে পারে, আমরা হাতি কাঁধে নিয়ে দৌড় দেবো, কিন্তু নৌকার ওপর উঠতে দেবো না।’

সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সোমবার (১০ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

শামীম ওসমান বলেন, ‘পাশের এলাকায় ফতুল্লায় কয়দিন আগে নির্বাচন হলো। ইভিএমে ভোটগ্রহণ হলো। কেউ টেরও পেলো না। আমিও গেলাম না। কথাও হলো। কোনও কথাও বললাম না। কিন্তু এই নির্বাচনটা (নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন) এলেই কেন জানি একটা সমস্যা হয়ে যাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কে প্রার্থী হু কেয়ারস? কলাগাছ না আমগাছ আমাদের দেখার বিষয় না। বিষয় একটা, এটা আমার স্বাধীনতার নৌকা, এটা আমার জাতির পিতার নৌকা, এটা আমাদের শেখ হাসিনার নৌকা, এটা আমাদের রক্ত দিয়ে কেনা নৌকা। সো, এই নৌকার বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। নৌকার জন্য যেভাবে নামা উচিত সেভাবে নামতে পারিনি। তবে আজ থেকে নামলাম।’

শামীম ওসমান বলেন, ‌‘আমি এই কয়দিন চুপ ছিলাম একটা কারণে। এই ভেবে যে এইটা আমার কাজ না। চুপ থাকায় বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করা হচ্ছে। দলকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। কেউ দলের উল্টা দিকে থেকে হেঁটে ক্ষতি করছে, কেউ দলে থেকে ক্ষতি করছে। তাই আজকে ভাবলাম কথা বলাটা উচিত। আমি মানসিকভাবে শকড। নির্বাচন এলেই আমাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। নির্বাচনের সময় আমি কেন সাবজেক্ট ম্যাটার (আলোচনার বিষয়) হবো জানতে চাই। এখন আমার অবস্থা গরিবের ভাবির মতো। ও বলে আমি তার, সে বলে আমি তার।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারকে (হাতি প্রতীক) এমপি শামীম ওসমানের প্রার্থী বলে মন্তব্য করেছিলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। তবে নিজেকে জনগণের প্রার্থী বলে দাবি করে তৈমুর আলম বলে আসছিলেন, আমি শামীম ওসমানের পায়ে ভর করে চলি না।

শনিবার (৮ জানুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের দেউলী চৌরাপাড়া এলাকায় গণসংযোগের সময় এ মন্তব্য করেন আইভী। নৌকার পক্ষে নির্বাচনি প্রচারণায় না নামায় কয়েকদিন ধরে শামীম ওসমানকে নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা চলছিল। এরই মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে এসে নিজের অবস্থান জানান দিলেন শামীম ওসমান।