গাজীপুরে তিন বছর পর এক কিশোরী হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন, গ্রেফতার ৩

গাজীপুরে তিন বছর আগে আলোচিত এক কিশোরী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সে কালিয়াকৈর উপজেলার মেয়ে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক হাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, কালিয়াকৈর উপজেলার বরাব মসজিদ মার্কেট এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ আলী (২৮), বরাব পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে সুজন মিয়া (৪৬) এবং পাশের ভান্নারা গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে নাহিদ হোসেন (২৮)। সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাতে আসামিদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) স্বপ্না হত্যা মামলার আসামি আলী ও নাহিদ হোসেনকে গাজীপুর আদালতে হাজির করা হলে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। অপর আসামি সুজনকে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

পিবিআই গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান জানান, স্বপ্না হত্যার ঘটনায় জড়িত আসামিরা স্থানীয়দের কাছে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত। নিহত কিশোরী তাদের সাথে মাদক সেবন করতো এবং অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত ছিল। ওই কিশোরীর চলাফেরা স্বাভাবিক না থাকায় পরিবারের সদস্যদের সাথে তার কোনও ধরনের যোগাযোগ ছিল না। চট্টগামের জনৈক মাদক ব্যবসায়ী চট্টগ্রাম থেকে মাদকের চালান এনে ওই কিশোরীর মাধ্যমে মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রি করতো। কিশোরীটি ওই মাদক ব্যবসায়ীর স্ত্রী দাবি করতো। চট্টগামের ওই মাদক ব্যবসায়ী স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্যই তার নিকটতম মাদক ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ভিকটিম কিশোরীটিকে হত্যা করে। অভিযুক্ত আসামিরা ঘটনাস্থলে ভিকটিমকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

পিবিআই কর্মকর্তা পরিদর্শক হাফিজুর রহমান জানান, ২০১৯ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি কালিয়াকৈর উপজেলার ভান্নারা গ্রামের হাফেজ দেওয়ানের কাঠ বাগানের গর্তে স্থানীয় লোকজন কিশোরীর মরদেহ দেখতে পায়। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের চাচা বাদি হয়ে কালিয়াকৈর থানায় অজ্ঞাতদের অভিযুক্ত করে কালিয়াকৈর থানায় মামলা দায়ের করলে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শুরু করে।