নাসিক নির্বাচন

ভোট দিতে ভোগান্তি!   

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন ভোট গ্রহণ চলছে। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। ভোট দিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ভিড় জমিয়েছেন ভোটাররা। তবে ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভোটাররা। 

সকাল ৯টায় নগরীর বিবি মরিয়ম ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় কেন্দ্রের সামনে নারী ও পুরুষ ভোটারদের দীর্ঘ লাইন।  কেন্দ্রের ভেতরে গিয়ে দেখা যায় ইভিভিএম মেশিনে ভোট দিতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন সাধারণ নারী ভোটাররা। 

ভোট কেন্দ্রের এক কাউন্সিলর প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট আলেয়া বেগম বলেন, প্রথম দিকে সকাল আটটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত আট জন ভোটার এসেছিলেন। তাদের মধ্যে তিন জন ভোট দিতে পেরেছেন। বাকিরা ভোট দিতে না পেরে চলে গেছেন। 

তিনি জানান, ভোটাররা ভোট দেওয়ার নিয়ম বুঝতে পারছেন না।। যে কারণে সমস্যা   হচ্ছে। 

ভোট দিতে কেন সমস্যা হচ্ছে, জানতে চাইলে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মাহবুবুর রহমান টনি বলেন, প্রথম দিকে  নারী ভোট কেন্দ্রে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে দিলে তারা ভোট দিতে পারছেন। শুনেছি দুই-একজন ভোটারের ফিঙ্গার প্রিন্ট মেলেনি। তাদের হাত ঘামা থাকায় তাদের অপেক্ষা করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা ভোট না দিয়ে চলে যায়। 

এদিকে ভোট দিতে গিয়ে ফিঙ্গার প্রিন্ট না মেলাসহ ইভিএমে ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতার অভাবে অনেক ভোটার বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

নারায়ণগঞ্জের আদর্শ স্কুল কেন্দ্রে নারী ভোটারদের দীর্ঘ সারি (ছবি: নাসিরুল ইসলাম)২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার পর এবার তৃতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে সাত এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৮২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার রয়েছেন পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন।

নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাত প্রার্থী। তারা হলেন-আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার (হাতি), খেলাফত মজলিশের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়াল ঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাও. মো. মাসুম বিল্লাহ (হাতপাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল ইসলাম (ঘোড়া), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাত ঘড়ি)। এ ছাড়া সিটির ২৭ ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভোটাররা মনে করছেন, মেয়র পদে মূল লড়াইটা হবে আইভী ও তৈমুরের মধ্যে।