ইভিএম একটি জালিয়াতির বাক্স: পরাজয়ের পর তৈমুর

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজয়ের পর ভোটের মেশিন ইভিএমকে ‘চুরির বাক্স’ বলে উল্লেখ করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার।

তার দাবি, ‘পুলিশ, প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে আমাকে পরাজিত করেছে। ইভিএম হলো একটি চুরির বাক্স।  নারায়ণগঞ্জবাসী এটি মেনে নেয়নি। প্রথম দিনই বলেছি, ইভিএম জালিয়াতির বাক্স। আজ তা প্রমাণ হয়েছে। এ ফলাফল কোনোভাবে মেনে নিতে পারি না। নির্বাচন কমিশন, পুলিশ ও প্রশাসন যৌথভাবে আমার বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে।’

রবিবার (১৬ জানুয়ারি) নাসিক নির্বাচনের বেসরকারি ফল ঘোষণার পর রাত সাড়ে ৮টায় মাসদাইরের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।

তৈমুর আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রতীক পাওয়ার পর থেকে আমার লোকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বললাম, আমার লোকগুলো বাইরে রেখে নির্বাচন দিতেন। দেখতেন জয়-পরাজয় কী হয়। আমার ড্রাইভার ও কাজের লোকজন রাস্তায় বের হলেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’ 
স্বতন্ত্র এ প্রার্থী আরও বলেন, ‘আমাকে এতগুলো ভোট দেওয়ার জন্য নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে ঋণী হয়ে থাকলাম। যারা আমাকে নির্বাচনের জন্য ডেকে নিয়ে এসেছিলেন, উৎসাহ দিয়েছেন- তারা আমার কাছ থেকে সরে যাননি। তারা জীবনবাজি রেখে হাতি প্রতীকের পক্ষে কাজ করেছেন।’

পরাজিত এ মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘ধীরগতিতে ইভিএমে ভোট হয়েছে। অনেক জায়গায় মেশিন নষ্ট ও হ্যাং পেয়েছি। মেরামত করতে গিয়েও সময় নষ্ট হয়েছে। ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল। কিন্তু ভোট দিতে পারেনি। সারাদিনই এ ধরনের অবস্থা চলছিল।’

তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের জন্য আইভী সহায়তা চাইলে করা হবে। সবসময় আমি নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের সহায়তা করেছি।’

দলকে আপনি কী বার্তা দিলেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তৈমুর জানান, দলের বার্তা দল পেয়েছে।