অধ্যাপক সাইদা হত্যার দায় স্বীকার আনোয়ারুলের, জানালেন কারণ 

টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক অধ্যাপক সাইদা গাফ্ফারকে হত্যা করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন নির্মাণশ্রমিক আনোয়ারুল ইসলাম।

মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) বিকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়াজ মাখদুমের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। সেখানে অধ্যাপক সাইদা গাফফারকে হত্যার দায় স্বীকার করে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন আনোয়ারুল।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) জাকির হাসান জানান, এ হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আনোয়ারুল ইসলাম গত শনিবার তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রিমান্ড শেষে আজ আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এ পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, অধ্যাপক সাইদা গাফ্ফার গাজীপুর মহানগরের কাশিমপুর থানার দক্ষিণ পাইনশাইল এলাকার মোশাররফ হোসেন মৃধার বাড়ির দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। ওই বাড়িতে থেকে তিনি স্থানীয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক আবাসন প্রকল্পের ভেতরে নিজ প্লটে বাড়ি নির্মাণের কাজ তদারকি করতেন। গত ১১ জানুয়ারি রাতে ওই এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। তার সন্ধান না পেয়ে মেয়ে সাহিদা আফরিন ১২ জানুয়ারি কাশিমপুর থানায় একটি জিডি করেন। এ ঘটনায় সাইদা গাফফারের নির্মাণাধীন বাড়ির রাজমিস্ত্রির সহযোগী আনোয়ারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দেওয়ায় অধ্যাপক সাইদা গাফ্ফারকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার তিনদিন পর শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) ঝোপ থেকে লাশ এবং স্যান্ডেল ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়। 

নিহতের ছেলে সাইদ ইফতেখার বিন জহির এ ঘটনায় একটি মামলা করেন। গ্রেফতার আনোয়ারুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে শনিবার আদালতে পাঠান তদন্ত কর্মকর্তা কাশিমপুর থানার এসআই দীপঙ্কর রায়। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবারই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।