কুমার নদ গিলে খেলো ১০ বসতবাড়ি, ঝুঁকিতে গোটা বাজার

ফরিদপুরের কুমার নদ খননের পর থেকে পাড় ভাঙতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে জেলার নগরকান্দায় কমপক্ষে ১০টি বসতবাড়ি নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া নগরকান্দা সরকারি এমএন অ্যাকাডেমি ভবন, থানা ভবন ও কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরসহ পৌর বাজার ঝুঁকিতে রয়েছে।

জানা গেছে, ফরিদপুর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ৭৫ কিলোমিটার কুমার নদের পুনঃখননের কাজ চলছে। কাজটি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বেঙ্গল গ্রুপ বাস্তবায়ন করছে। পুনঃখননের ফলে নদের পাড়ের কিছু এলাকায় ধস ও ফাটল দেখা দিয়েছে।

সোমবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে হঠাৎ ভেঙে পড়ে পৌর এলাকার গাংজগদিয়া গ্রামের গঙ্গা মন্দিরসহ সাত-আটটি বাড়ি। প্রায় ৫০ মিটার দূরত্ব এলাকা নিয়ে ধসে পড়েছে নদের পাড়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।

একইভাবে উপজেলার পাঁচকাইচাইল এলাকার আশরাফ মাতুব্বর ও সেলিম ব্যাপারীর বসতবাড়ি ভেঙে নদের গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ছাড়াও নগরকান্দা এলাকায় বড় ধরনের ফাটল দেখা দিয়েছে, যা প্রায় ছয়-সাত ফুট দেবে গেছে। এই এলাকার নদের পাড়ের বাসিন্দারা ভাঙন আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছেন।

ফাটল ধরেছে অনেক বাড়িঘরে

ক্ষতিগ্রস্ত উজ্জ্বল মালো বলেন, ‘কয়েকদিন হলো ফাটল দেখা গিয়েছিল। সোমবার রাতে শব্দ পেয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে দেখি, আমার পাশের ঘর ভেঙে নদে পড়েছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাইরে আসি। এ সময় আমার ঘরটিও ভেঙে পড়ে।’

খবর পেয়ে রাতেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এন এম আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নদটির খনন করার নামে বালু ব্যবসা করা হচ্ছে। গভীর করে নদটি খনন করে বালু তোলার কারণে পাড় ভেঙে পড়ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেতী প্রু বলেন, ‘নদের পাড়ে ফাটল হওয়ায় আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। জেলা সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। পাড় রক্ষার্থে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

এ বিষয়ে ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, ‘সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সরেজমিনে লোক পাঠিয়েছি। সমাধানের চেষ্টা চলছে।’