প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন লঞ্চের যাত্রীরা

নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় চর সৈয়দপুর এলাকায় পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় এমএল আশরাফ উদ্দিন নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন লঞ্চের যাত্রীরা। কেউ কেউ সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। তবে কতজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ।

রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে চর সৈয়দপুরের আলামিন নগরের ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা বিভাগ) বাবুলাল বৈদ্য।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জ যাওয়ার পথে ১৫০ যাত্রীর ধারণক্ষমতা সম্পন্ন লঞ্চটি জাহাজের ধাক্কায় ডুবে যায়। যখন লঞ্চটি ডুবে যাচ্ছিল তখন যাত্রীরা প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২০ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হন। লঞ্চটিতে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেননি কেউ। ধারণা করা হচ্ছে, লঞ্চটিতে শতাধিক যাত্রী ছিলেন।

তবে নারায়গঞ্জের পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বলেন, লঞ্চে ২০ থেকে ২৫ জন যাত্রী ছিল বলে অনেকের কাছে জানতে পেরেছি। তবে বেশিরভাগই সাঁতরে তীরে উঠতে পেরেছেন। এখন পর্যন্ত কারও মরদেহ উদ্ধার করা হয়নি। এমভি রূপসী নামে পণ্যবাহী জাহাজ ওই লঞ্চটিকে ধাক্কা দিয়েছে। জাহাজটি এখনও আটক করা হয়নি। তবে এ ব্যাপারে নৌ-পুলিশ ভালো বলতে পারবে।

আরও পড়ুন: প্রাণ বাঁচাতে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন লঞ্চের যাত্রীরা 

নারায়ণগঞ্জ নৌ-পুলিশের এসপি মীনা মাহমুদা বলেন, পণ্যবাহী জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে গেছে বলে আমরা নিশ্চিত হয়েছি। খবর পেয়ে সেখানে নৌ-পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে লঞ্চের কতজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ডুবে যাওয়া লঞ্চ এমএল আশরাফ উদ্দিনের মালিকের ছেলে আল ইসলাম বলেন, লঞ্চে কত যাত্রী ছিল তা নিশ্চিত হতে পারিনি আমরা। আমাদের লঞ্চটি ১৫০ যাত্রীর ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন।  

বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা বিভাগ) বাবুলাল বৈদ্য বলেন, জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে গেছে। এখনও অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেছে। তবে কতজন নিখোঁজ রয়েছেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। 

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যুর খবর আমরা পাইনি।