লোডশে‌ডিংয়ে অতিষ্ঠ হ‌য়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঘন ঘন লোডশেডিং ও দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে বিক্ষোভ মি‌ছিল করেছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী। মিছিল শেষে স্থানীয় পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে ভাঙচুর চালান তারা। এ সময় ভয়ে অফিস থেকে পালিয়ে যান অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর মধুপুর জোনাল অফিসে এ ঘটনা ঘ‌টে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাজহারুল আমিন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত দুই মাস ধরে মধুপুর শহরে ঘন ঘন লোড‌শে‌ডিং হচ্ছে। বিদ্যুৎ একবার গেলে দীর্ঘ সময়েও আসে না। বিদ্যুৎ না থাকায় মধুপুর কলেজের পরীক্ষা কেন্দ্রে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় এলাকাবাসী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর মধুপুর জোনাল অফিস ঘেরাও করে ভাঙচুর চালান। 

শিক্ষার্থীরা জানান, রোজার শুরুতেই ঘন ঘন লোড‌শে‌ডিং হচ্ছে। পরীক্ষার হলে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গতকাল রাত থেকে টানা ১০ ঘণ্টা মধুপুর শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকায় মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এজন্য পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মধুপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম আবু মোহাম্মদ ইয়া‌হিয়া বলেন, ‘মধুপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অধীন ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। সেখানে বিদ্যুৎ পাচ্ছি ৭-৮ মেগাওয়াট। বাধ্য হয়ে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। প্রায় দুই মাস ধরে এই সমস্যা চলছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা অফিসে ভাঙচুর করেছে।’

মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিন বলেন, ‘জামালপুর গ্রিডের সমস্যার কারণে মধুপুরে প্রয়োজনের তুলনায় কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে বলে শুনেছি। সংকট নিরসনে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে দুপুরে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি যাতে না ঘটে সে বিষয়ে সজাগ রয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

ওসি মাজহারুল আমিন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করেছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হয়। পরে তারা চলে যায়। এতে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এ নিয়ে থানায় অভিযোগও দেননি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা।’