মানিকগঞ্জে ফ্ল্যাট থেকে নারীর লাশ উদ্ধার, স্বামী পলাতক

 

 

মানিকগঞ্জ শহরের উত্তর সেওতা এলাকার ছয় তলা একটি ভবনের ফ্ল্যাট থেকে সানজিদা আক্তার রুপা (২৫) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৩ এপ্রিল) রাতে লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে নারীর স্বামী ওষুধ ব্যবসায়ী সহিদুর রহমান (৩৬) পলাতক রয়েছেন। নিহতের পরিবারের দাবি সানজিদাকে হত্যা করে স্বামী পালিয়েছেন। সিআইডি, পিবিআই, র‌্যাব ও ডিবি সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

স্বজনরা অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকে সানজিদাকে যৌতুকের জন্য মারধর করতো তার স্বামী। তাদের তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। 

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে। নিহত নারী টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার মাহমুদনগন গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। স্বামী সহিদুর রহমানের বাড়ি একই উপজেলার বনগ্রাম এলাকায়। তিনি জহিরুল ইসলামের ছেলে।

সানজিদার বড় ভাই মনিরুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘আমার বোনের মৃত্যুর খবর বোন জামাইয়ের ভাই নাসির উদ্দিন মোবাইলফোনে জানান। বোনকে হত্যার পর গলায় কাপড় পেচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে তার স্বামী পালিয়েছে।’

তিনি আরও জানান, সানজিদা ও সহিদের দু’জনেরই দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। বিয়ের পর থেকে তার বোনকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো সহিদ। পারিবারিক ও গ্রাম্য সালিশে একাধিকবার এ বিষয়ে আলোচনা হয়। 

সানজিদার প্রতিবেশী খাদিজা বেগম বলেন, নিহতের স্বামী ঘটনার পর থেকে লাশ নামিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। তাদের একমাত্র শিশু সন্তান লাবিব তখন বাসায় একা ছিল।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা বলেন, ঘটনার পরপরই নিহতের স্বামী সহিদ পলাতক রয়েছেন। তার ব্যবহৃত মোবাইলটিও বন্ধ। লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।