ঈদযাত্রায় ভোগান্তি রোধে তৎপর হাইওয়ে পুলিশ

ঈদ আসলেই সড়কে যাতায়াতে যাত্রী ও চালকদের ভোগান্তি বেড়ে যায়। তাই আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজবাড়ীর আহলাদিপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও চাঁদাবাজি রোধসহ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তৎপরতা বাড়িয়েছে।

হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ীর ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দৌলতদিয়া ঘাট থেকে বসন্তপুর সাইনবোর্ড পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার সড়ক এবং রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ী বড়পুল পর্যন্ত মোট ১০ কিলোমিটার এলাকার দায়িত্বে রয়েছে আহলাদীপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার কয়েক হাজার মানুষ ও যানবাহন এই সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। কিন্ত ঈদ এলেই সড়কে ব্যস্ততা বেড়ে যায়।

মহাসড়কে বাড়তি যানবাহনের চাপে সড়ক দুর্ঘটনা, চাঁদাবাজি ও ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের নৈরাজ্যের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই সড়কে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রত্যেক ঈদের সামনে পুলিশি তৎপরতা বাড়ায় আহলাদীপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ।

ঈদ এলেই সড়কে ব্যস্ততা বেড়ে যায়

এছাড়া মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচলে সড়ক দুর্ঘটনারোধে গুরুত্ব সহকারে তদারকি করছে পুলিশ। মহাসড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, নিবন্ধনবিহীন গাড়ি চালানো এবং লাইসেন্স ও হেলমেটবিহীন মোটরসাইকেল চালানোসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে নিয়মিত মামলা করা হচ্ছে।

হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত আহলাদিপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ মোট ১৬৫টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এর মধ্যে থ্রি হুইলার রয়েছে ৭৩টি। গত মাসে এই থানায় মোট মামলার সংখ্যা ছিল ৩৪৩টি।

আহলাদীপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সড়কে যেকোনও ধরনের নৈরাজ্য বন্ধ এবং দৌলতদিয়া ঘাটকে যানজটমুক্ত রাখতে জেলা পুলিশের পাশাপাশি আহলাদীপুর হাইওয়ে থানা পুলিশও নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। এছাড়া মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচলে হাইকোর্ট ও সরকার এসব যান চলাচলকে নিষিদ্ধআরোপ ঘোষণা করেছেন। আমরাও এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি।