সময় এসেছে প্রস্তুতির, সামনে আঘাত আসবে: শামীম ওসমান

দলের নেতাকর্মীদের যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) একেএম শামীম ওসমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তুতির সময় এসেছে, সামনে আঘাত আসবে। এই আঘাত সরকার ভাঙার আঘাত হবে না। এই আঘাত হবে বাংলাদেশকে ধ্বংস করার আঘাত। নারায়ণগঞ্জ হবে ওই আঘাতের ক্ষেত্র। নারায়ণগঞ্জ চারদিক থেকে ঘেরাও করা আছে। যারা নারায়ণগঞ্জের চারদিকে হাইওয়ে দিয়ে ওঠেন তারা বুঝবেন আমি কী বলতে চেয়েছি।’

শনিবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের লা-ভিস্তা রেস্তোরাঁয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) জেলা শাখার ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শামীম ওসমান এসব বলেন।

নারায়ণগঞ্জে ইতোপূর্বে দলের নেতাকর্মীদের ওপর প্রতিপক্ষের হামলার কথা উল্লেখ করে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘তারা আমাদের টার্গেট করে। তাদের কারণে আজ আমাদের চন্দন শীলের (মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি) দুটি পা নেই। পঙ্গু চন্দনশীল। তাদের কারণে খোকন সাহার চোখে পানি আসে। তাদের কারণে আবু হাসনাত শহীদ মোহাম্মদ বাদলের কোমরের দুটো হাড় ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। তাদের কারণে বোমা হামলায় বেঁচে যাওয়া শামীম ওসমানের এই হাত ও পা অচল হয়। এ কারণে এখনও চেয়ারে বসে নামাজ পড়তে হয়।’

প্রতিপক্ষের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সংশোধন হোন, আল্লাহ আপনাদের হেদায়েত করুক। কিন্তু আপনারা যদি ধ্বংসের পথে যান, শয়তানের পথে যান– তাহলে বলবো শান্তির পক্ষে আমরাও খেলবো। সেই খেলায় আমরাই জিতবো।’

ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি-জামায়াত ও স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি) আমাদের সামনে কঠিন ব্যাপার না। আওয়ামী লীগ যদি এক থাকে এ সমস্ত শক্তিকে মোকাবিলা করা যায়। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, ঘরের ভেতর খন্দকার মোশতাকের বংশধর। বঙ্গবন্ধুকে অন্য কেউ মারতে পারেনি। আমরা জাতির পিতাকে বাঁচতে দিইনি। ওইদিন দরজা কিন্তু খুলে দিয়েছিল খন্দকার মোশতাকরা। এই মোশতাকরা কত সক্রিয় তা বোঝা যায় যখন এই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের ২৬ বছর ধরে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা খোকন সাহা মামলায় হুলিয়াপ্রাপ্ত হন। তখন বুঝি, মোশতাকরা যেকোনোভাবে এখনও সক্রিয় আছে এবং আগামীতেও থাকবে। তাই নেত্রীর কাছে আহ্বান জানাই, দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেছেন, ঈদের পরে দেখাবেন আন্দোলন কত প্রকার ও কী কী। আমরা এটার জন্য অপেক্ষা করছি। আমরা ছোটবেলার খেলোয়াড়। আপনারা কবে খেলতে নামবেন বলবেন। আমরা তো বলেছি, খেলা হবে। এবং আমরা খেলবো ইনশাআল্লাহ।’