কিশোরগঞ্জে স্ত্রী হত্যার দায়ে ফয়েজ মিয়া (২৮) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান এই রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শাহ আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত ফয়েজ মিয়া অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের মধ্যর আলীনগর গ্রামের ছমির উদ্দিনের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৮ জুলাই মধ্যম আলীনগর গ্রামের ফয়েজ ও আলীনগর উত্তরপাড়া গ্রামের আক্কাছ মিয়ার মেয়ে চায়না আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের ২৩ দিন পর (৩০ জুলাই) রাতে শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যায় ফয়েজ। সেদিন রাতে চায়নার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে। সকাল ৭টার দিকে নাস্তা খাওয়ার জন্য শাশুরি ডাকতে গেলে সে জানায়, বাড়ি থেকে জরুরি ফোন এসেছে, তাকে চলে যেতে হবে। আর চায়নাকে ডাক নিষেধ করে বলে, তার ক্ষুধা লাগলে উঠে খেতে যাবে।
তারপর শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে যায় ফয়েজ মিয়া। তারপর অনেকক্ষণ কোনও সাড়া না পেয়ে বড় বোন ছায়েরা আক্তার চায়নার রুমে গিয়ে দেখেন, তার গলায় ওড়না পেঁচানো। পরে তার চিৎকারে বাড়ির সবাই ছুটে আসেন।
ঘটনার পরদিন ৩১ জুলাই চায়নার বাবা আক্কাছ মিয়া বাদী হয়ে ফয়েজের বিরুদ্ধে অষ্টগ্রাম থানায় মামলা করেন। ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অষ্টগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) চাঁন মিয়া মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন।