আজও বাড়ি ফিরছেন মানুষ, লঞ্চে উপচে পড়া ভিড়

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বুধবারও (৪ মে) বাড়ি ফিরেছেন মানুষ। শরীয়তপুর জাজিরা উপজেলার সাত্তার মাদবর ও মাঝিকান্দি ঘাটে আজও ঘরমুখো মানুষের ভিড় ছিল। সরেজমিনে দেখা গেছে, লঞ্চে গাদাগাদি করে সাত্তার মাদবর ও মাঝিকান্দি ঘাটে এসে নামছেন যাত্রীরা।

সাত্তার মাদবর ও মাঝিকান্দি লঞ্চঘাট সূত্র জানায়, বুধবার ভোর থেকে লঞ্চ, স্পিডবোটে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। ফেরিতে উঠতেও গাড়ির লম্বা সিরিয়াল আছে। লঞ্চগুলো ধারণ ক্ষমতার চেয়েও অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে শিমুলিয়া থেকে সাত্তার মাদবর ও মাঝিকান্দি ঘাটে এসে ভিড়ছে। যাত্রীচাপ বাড়ায় সাত্তার মাদবর ও মাঝিকান্দি ঘাট থেকে অনেকটাই যাত্রীশূন্য লঞ্চ শিমুলিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যাচ্ছে।

বিল্লাল হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘নৌযানে উপচে পড়া ভিড়। লঞ্চে গাদাগাদি অবস্থা। ভেবেছিলাম ঈদের পর দিন যাত্রী কম থাকবে। তবে এসে দেখি, এ দিন আরও বেশি। তবে বাড়ি ফিরতে পারছি, এটাই বড় বিষয়।’

shariatpur2

আরেক যাত্রী মোস্তাফিজুর রহমান মুসা বলেন, ‘এমনিতেই প্রচুর গরম। তার মধ্যে নৌযানে প্রচুর ভিড়। পদ্মা পার হতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে যাত্রীদের। গরমে হাঁপিয়ে উঠছেন অনেকে। ভেবেছিলাম, আজকে একটু চাপ কম হবে,  এসে দেখি আজ আরও চাপ বেশি।’

বিআইডব্লিউটিএ’র সাত্তার মাদবর ও মাঝিকান্দি লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল ইনাম বলেন, ‘আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকায় লঞ্চে যাত্রীদের চাপ বেশি। ৮০টি লঞ্চ চালু রয়েছে। প্রতিদিন রাত ১০টা পর্যন্ত লঞ্চ চালু থাকছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নৌযানে বাড়তি যাত্রী বহনে সবসময় নিষেধ করে থাকি। তাছাড়া বাংলাবাজার ঘাট থেকে ধারণক্ষমতার বেশি যাত্রী নেওয়া হয় না। তবে যাত্রীচাপ বেশি থাকায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে লঞ্চে কিছু বাড়তি যাত্রী বহন করা হচ্ছে।’