ট্রাকে পচছে তরমুজ

শরীয়তপুরের নরসিংহপুর ফেরিঘাটে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়েছে। দুই থেকে তিন দিন অপেক্ষা করেও ঘাট পার হতে পারছে না যানবাহনগুলো। ঘাটে আটকে পড়েছে তিন শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। এর মধ্যে রয়েছে দেড় শতাধিকই তরমুজ বহন করছে। এতে তরমুজ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চালকরা।

সোমবার (৯ মে) সরেজমিন দেখা গেছে, নরসিংহপুর ঘাট থেকে খায়েরপট্টি পর্যন্ত সারি সারি ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে। এর মধ্যে দেড় শতাধিক তরমুজের গাড়ি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চালকরা। ট্রাকে থাকা তরমুজ পচছে। পচা তরমুজের দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ী তরমুজ রেখেই চলে যাচ্ছেন। ঘাটে তরমুজ নিয়ে ব্যবসায়ীরা হতাশায় ভুগছেন।

খুলনা থেকে আসা চালক সোহেল বলেন, ‘চট্টগ্রাম যাবো। তিন দিনেও ঘাট পার হতে পারিনি, তরমুজ পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। আজকের মধ্যে যেতে না পারলে বাড়ি থেকে টাকা আনতে হবে। তারপর যেতে হবে।’

তরমুজ ব্যবসায়ী শরীফ মিয়া বলেন, ‘পটুয়াখালী থেকে রবিবার সকাল ৮টার দিকে ঘাটে এসেছি। এখনও পার হতে পারছি না। তরমুজ দিয়ে পানি পড়ছে। আজ পার হতে না পারলে আমার চালানসহ সব শেষ হয়ে যাবে।’

মোংলা থেকে আসা সোহেল নামের আরেক চালক বলেন, ‘তরমুজ থেকে পানি পড়ছে। ব্যাপারী পালিয়েছে, গাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়েছি। এখন কী করবো, বুঝতে পারছি না।’

এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) নরসিংহপুর ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তিন দিন ধরে ঈদের কারণে যাত্রীবাহী গাড়ির চাপ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তরমুজের গাড়ি হঠাৎ বেড়ে গেছে। আমরা চেষ্টা করছি, তরমুজসহ কাঁচামালের গাড়িগুলো ছেড়ে দিতে।’

ঘাট ইজারাদার জিতু মিয়া বলেন, ‘সাতটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। ফেরিগুলো ছোট হওয়ায় একসঙ্গে দুই থেকে তিনটি ট্রাকের বেশি পার করা যায় না। তাই ঘাটের জট কমছে না।’ জট কমাতে দুয়েকটি রো রো ফেরি যুক্ত করার দাবি জানান তিনি।