সিদ্ধিরগঞ্জে সড়ক অবরোধ করে অটোরিকশাচালকদের বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সড়ক অবরোধ করে প্রায় তিন ঘণ্টা আন্দোলন করেছেন অটোরিকশাচালকরা। প্রধান সড়কে অটোরিকশা চালানো নিষেধ করায় মঙ্গলবার (৩১ মে) সকালে আদমজী-চাষাঢ়া সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। পরে পুলিশ গিয়ে তাদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।

আন্দোলনরত চালকরা জানান, গত কয়েকদিন ধরে র‍্যাব সদস্যরা প্রধান সড়কে অটোরিকশা চলাচল করতে দিচ্ছেন না। র‍্যাব লেকের রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে বলছেন। কিন্তু লেকের পাশের সড়কের কাজ এখনেও শেষ হয়নি। তাই ওই সড়কে অটোরিকশা নিয়ে চলাচল করা সম্ভব না। এতে চালকদের জীবিকা নির্বাহ অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

এদিকে সকাল থেকে সড়ক অবরোধের ফলে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দিয়েছেন। 

রাসেল আহমেদ নামে এক যাত্রী জানান, তিনি চাষাঢ়ায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। যানবাহন বন্ধ থাকায় গৌন্তব্যে যেতে পারছেন না। দেরি হয়ে যাচ্ছে। তাই হেঁটে রওনা দিয়েছেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) হাফিজুর রহমান মানিক বলেন, ‘সকাল ৮টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ ছিল। পরে অটোচালক শ্রমিকদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সড়কে যানজট সৃষ্টি না করে শৃঙ্খলা বর্জায় রেখে চলাচলের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা অবরোধ তুলে নেয়। এখন যান চলাচল স্বাভাবিক।

তিনি আরও বলেন, ‘অটোরিকশাচালকরা সড়কে যানজট সৃষ্টি করে। এজন্য র‍্যাব চেকপোস্ট বসিয়ে যানজট নিরসনে অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। এ কারণে তারা আন্দোলন করেছে।’

র‍্যাব-১১’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা বলেন, ‘অটোরিকশাচালকরা গাড়ি চালাবে তাতে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু একটা নিয়মনীতির মধ্যে থেকে চালাবে। এই যান চলাচলের ফলে প্রায় সময় দুর্ঘটনা ঘটে। শহরে বাহনের একটা শৃঙ্খলা প্রয়োজন।’

তিনি আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন শহরে ভেতরে অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। এই অটোরিকশার কোনও কাগজপত্র নেই, ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই। এতে তারা অনিয়ম করলে পুলিশ যে মামলা দেবে তারও সুযোগ নেই। ফলে তারা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। সুতরাং জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, পুলিশ, র‍্যাব সবার সমন্বয়ে চাই সড়কে শৃঙ্খলা আসুক।’