মেঘনার ঢেউয়ে উপহারের ঘরের নিরাপত্তা দেওয়ালে ফাটল  

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নে বড় রায়পাড়া এলাকায় মেঘনা নদীর তীরে নির্মাণ করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ২০টি ঘর। তবে গত কয়েকদিনে মেঘনার ঢেউয়ে ঘরগুলোর সামনের অংশের নিরাপত্তা দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ঘরগুলো ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।

বুধবার (২২ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ এবং করণীয় ঠিক করতে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দফতরের প্রকৌশলী ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল। সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে প্রকৌশলীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মতামতের ভিত্তিতে নিরাপত্তা দেওয়ালের ভাঙন প্রতিরোধে শিগগিরই ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি। 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুর কাদির মিয়া, গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী, গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা, মুন্সীগঞ্জের গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খাইরুজ্জামান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী পরিতোষ চন্দ্র দাস, মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী।

ঝুঁকিতে থাকা উপহারের ঘর পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসকউপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম বলেন, যেহেতু বর্ষা মৌসুম চলমান আর গত কয়েকদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, এ অবস্থায় বড় কোনও কাজ করা যাবে না। আপাতত জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করা হবে। পরবর্তীতে ভাঙন প্রতিরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ উপলক্ষে মেঘনা নদীর তীরে বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়ায় উপহারের ঘর নির্মাণের স্থান নির্বাচন করা হয়। তবে ওই সময় থেকেই স্থানীয়রা প্রকল্পটির স্থায়ীত্বের স্বার্থে নির্বাচিত জায়গাটির পরিবর্তনের দাবি তোলেন। তবে স্থানীয়দের দাবি উপেক্ষা করে সেখানেই ঘর বানায় প্রশাসন। সে সময় কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এর মধ্যে হালকা বৃষ্টিতে একটি ঘরের কিছু অংশ ধসে পড়লে সে ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে। এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে। গঠন করা হয় তদন্ত কমিটি। পরে তড়িঘড়ি করে তা মেরামত করে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে আবার এক বছরের মাথায় গাইডওয়ালে ভাঙন দেখা দেওয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।