ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে নামে পরিচিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়কে টোল আদায় শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে টোল আদায় শুরু হয়।

শুক্রবার (১ জুলাই) কেরানীগঞ্জ সড়ক ও জনপদের (সওজ) কমকর্তা আবদুল মোমেন জানান, রাত ১২টা থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায় শুরু হয়েছে। আদায়কারী সংস্থা কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে (কেইসি) টোল প্লাজা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে পদ্মা সেতুর উত্তর প্রান্তে তিনটি কালেকশন বুথ বসার কথা থাকলেও, টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে এখন পর্যন্ত শুধু ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় বুথ বসানো হয়েছে। কেরানীগঞ্জে আব্দুল্লাপুর ও মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের সনবাড়িতে আজ দুপুর ২টার মধ্যে টোল বুথ বসানো হবে।

এদিকে সকাল থেকে ঢাকা থেকে মাওয়াগামী যানবাহনের চাপ লক্ষ্য করা গেছে। ধলেশ্বরী টোল প্লাজা থেকে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। জট এড়াতে ও দুর্ঘটনা রোধে এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধের প্রস্তাব করেছে সওজ।

সকাল থেকে ঢাকা থেকে মাওয়াগামী যানবাহনের চাপ

ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য অনুমোদিত সব ধরনের যানবাহনের জন্য টোল নির্ধারণ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। গত ২৯ জুন মন্ত্রণালয়ের টোল ও এক্সেল শাখার উপ-সচিব ফাহমিদা হক খানের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।

সব ধরনের যানবাহনের জন্য টোল নির্ধারণ

৫৫ কিলোমিটারের টোল হার অনুযায়ী, ট্রেইলার ১ হাজার ৬৯০ টাকা, হেভি ট্রাক ১ হাজার ১০০ টাকা, মিডিয়াম ট্রাক ৫৫০ টাকা, বড় বাস ৪৯৫ টাকা, মিনি ট্রাক ৪১৫ টাকা, মিনিবাস ২৭৫ টাকা, মাইক্রোবাস ২২০ টাকা, ফোর হুইলচালিত যানবাহন ২২০ টাকা, সিডান কার ১৪০ টাকা, মোটরসাইকেলে ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

টোল আদায়ে ধোলাইপাড় থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত মোট ছয়টি বুথ থাকবে। মাওয়া প্রান্তে আবদুল্লাহপুর, ধলেশ্বরী, শ্রীনগর পর্যন্ত তিনটি এবং পদ্মা সেতু পার হয়ে, কুলিয়াবাজার, মালিগ্রাম ও ভাঙ্গা পর্যন্ত তিনটি টোল বুথ থাকার কথা রয়েছে।