‘ছোট বাচ্চাটাকেও বাঁচতে দিলো না’

‘ছোট বাচ্চাটাকেও (তালহা) ওরা বাঁচতে দিলো না। কি দোষ ছিল ওর? মেয়ে নেই, নাতি নেই– সব শেষ।’ আহাজারি করে কথাগুলো বলছিলেন নিহত তালহার নানি ও রাজিয়া সুলতানা কাকলীর মা খন্দকার তাসলিমা বেগম।

রবিবার (৩ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় মা-ছেলের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের উজান গোবিন্দ পশ্চিমপাড়ায় নিজ বাসা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন— ওই এলাকার মৃত নবীর মিয়ার স্ত্রী রাজিয়া সুলতানা কাকলী (৪২) ও তার ছেলে তালহা (৮)।

খন্দকার তাসলিমা বেগম বিলাপ করে বলেন, ‘স্বামী মারা যাওয়ার পর মেয়েকে বলেছিলাম আমার বাড়িতে চলে আসতে, কথা শোনেনি। আমার কথা শুনলে আজ এই দিন দেখতে হতো না। ছেলেকে নিয়ে স্বামীর ভিটায় বসবাস করেছে। এখন মা-ছেলে দু’জনকে শেষ করে দিলো খুনিরা। আমি এর বিচার চাই।’

হত্যাকাণ্ডের শিকার রাজিয়া সুলতানা কাকলী ও তার ছেলে তালহা পুলিশ জানায়, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে নিজ ঘর থেকে মা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রাজিয়া ওই এলাকার মৃত নবীর মিয়ার স্ত্রী। নবীর কয়েকবছর আগে মারা যান। এরপর থেকে স্বামীর রেখে যাওয়া বাড়িতে ছেলে তালহাকে নিয়ে বসবাস করছিলেন রাজিয়া।

আড়াইহাজার থানার ওসি আজিজুল হক হাওলাদার বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। কে বা কারা হত্যা করেছে তা জানা যায়নি।’

নারায়ণগঞ্জ জেলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশ সকাল থেকে কাজ করছে। এছাড়া সিআইডি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও র‌্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।’ অপরাধীদের ধরতে সব ধরনের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।