‘লঞ্চের সংখ্যা কম, তবু কষ্ট করে বাড়ি যেতে হবে’

নারায়ণগঞ্জ সেন্ট্রাল লঞ্চঘাটে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। শুক্রবার (৮ জুলাই) সকাল থেকে ঘাটে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। গাদাগাদি করে লঞ্চে উঠে নদী পার হচ্ছে মানুষ। 

সরেজিমন দেখা গেছে, দুপুর সোয়া ১২টায় নারায়ণগঞ্জ-নড়িয়া রুটের নড়িয়া-৪ লঞ্চটি ঘাটের পন্টুনে ভেড়ানোর আগেই অনেক যাত্রী নৌকায় লঞ্চে উঠছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে লঞ্চটি যাত্রীতে বোঝাই হয়ে যায়। গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায় লঞ্চ।

লঞ্চের যাত্রী হেনা বেগম বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে যাচ্ছি। তবে এই রুটে লঞ্চের সংখ্যা অনেক কম। তাই লঞ্চে উঠতে হবে, কষ্ট করে হলেও বাড়ি যেতে হবে। কিছু করার নেই।’

যাত্রী আসলাম হোসেন বলেন, ‘আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি যাচ্ছি। লঞ্চঘাটে অনেক ভিড়। কিন্তু বাড়ি যেতে হবে, ভিড়ের মধ্যেই লঞ্চে উঠতে হবে।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ-পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য বলেন, ‘সকাল থেকে যাত্রীদের চাপ বেশি। ঈদকে কেন্দ্র করে যাত্রী সংখ্যা ৪-৫ গুণ বেড়েছে। কিন্তু সেই তুলনায় লঞ্চ বাড়েনি। এ কারণে যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে অতিরিক্ত যাত্রীদের চাপ সামলাতে নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, বিআইডব্লিউটিএ, ফায়ার সার্ভিসসহ সংশ্লিষ্ট সব দফতরের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাঁচটি রুটে মোট ৩৫টি লঞ্চ চলাচল করছে। তবে নড়িয়া রুটে লঞ্চের সংখ্যা কম থাকায় যাত্রী ভিড় একটু বেশি। এই রুটে দুটি লঞ্চ চলাচল করছে। এছাড়া ফতুল্লা লঞ্চ ঘাটের যাত্রীদের অনেক চাপ রয়েছে।’

উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ থেকে পাঁচটি রুটে লঞ্চ চলাচল করছে। রুটগুলো হলো—নারায়ণগঞ্জ-চাঁদপুর, নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ-রামচন্দ্রপুর, নারায়ণগঞ্জ-নড়িয়া ও নারায়ণগঞ্জ-মতলব।