বিয়ের ৩ মাসেই লাশ হলেন গৃহবধূ, স্বামীকে খুঁজছে পুলিশ

মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার শোধলারা গ্রামে এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে স্বামী রাসেল মোল্লা রূপক পলাতক। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিকালে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে, এই ঘটনায় নিহতের শাশুড়ি রওশনারা বেগমকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে স্বজনরা তাকে সাভারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশের শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুরজাহান লাবনী।

নিহতের নাম সুমি আক্তার। তিনি একই উপজেলার কাকজোর এলাকার রহম আলীর ছোট মেয়ে। তিন মাস আগে রূপকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল।

ঘিওর থানার ওসি রিয়াজউদ্দিন বিপ্লব বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে এক ভদ্রলোক থানায় কল করেন। তিনি রূপকের নাম-ঠিকানা নিশ্চিত করে বলেন, রূপকের স্ত্রী তার মাকে আহত করেছেন। এ ঘটনায় আহত মাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হলে একটি জিডি করতে হবে। জিডি করার বিষয়ে তিনি পরামর্শ চান এবং ঘাতক স্ত্রীকে গ্রেফতার করতে বলেন।’

তিনি বলেন, ‘তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ খোঁজাখুঁজি করে ফাঁকা বাড়ির পরিত্যক্ত একটি রুমে স্ত্রী সুমি আক্তারের রক্তাক্ত মরদেহ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে।’

প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, সুমির স্বামী রূপক এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। পুলিশ তাকে খুঁজছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন। রূপক মানিকগঞ্জ জজকোর্টে এক আইনজীবীর সহকারী হিসেবে চাকরি করেন।

ঘিওর থানার ওসি আরও বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রূপককে খোঁজা হচ্ছে।’