কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ফুটবল খেলা নিয়ে দুই গ্রামের সংঘর্ষে একজন নিহত ও কমপক্ষে ১০-১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২২ জুলাই) সকালে উপজেলার ধূলদিয়া ইউনিয়নের রায়খলা ও সতেরদ্রোন গ্রামের লোকজন এ সংঘর্ষে লিপ্ত হন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুপক্ষের মারামারি চলে। এতে দুই পক্ষই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপরের হামলা করে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ৪০ রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির নাম হুমায়ুন কবির (৩৫)। তিনি রায়খোলা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য মৃত কামাল হোসেনের ছেলে। পেটে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে মারা যান বলে জানা গেছে। মারামারিতে তার ছোট ভাই মামুনও গুরুতর আহত হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে সতেরদ্রোন গ্রামের মাঠে রায়খোলা ও সতেরদ্রোন গ্রামের মধ্যে ফুটবল খেলার আয়োজন করা হয়। খেলা চলাকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রায়খেলার লোকজন সতেরদ্রোন গ্রামের লোকজনকে মারধর করেন। এর জেরে সকালে সতেরদ্রোন গ্রামের লোকজন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে রায়খোলা গ্রামে হামলা চালান। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন বেশকিছু দোকানপাট, বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে একজন নিহত হন। আহত হন উভয়পক্ষের ১০-১৫ জন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ার গ্যাস ও ফাঁকাগুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে সেখানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এস এম শাহাদত হোসেন বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে ৪০ রাউন্ড টিয়ার গ্যাস ও ফাঁকাগুলি ছুড়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। দুই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।