ট্রেন-বাস সংঘর্ষে ৫ জন নিহতের ঘটনা তদন্তে কমিটি

গাজীপুরের শ্রীপুরে ট্রেন ও বাসের সংঘর্ষে পাঁচ জন নিহতের ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ঢাকা ও ময়মনসিংহের পাঁচ কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৫ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টায় ওই কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রেললাইনের পাশ থেকে বাসটি কিছু দূরে সরানোর নির্দেশনাও দিয়েছেন তারা।

কমিটির সদস্যরা হলেন- রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা আমিনুল হক, সহকারী যান্ত্রিক প্রকৌশলী আলাউদ্দিন, সহকারী সার্জেন্ট ডা. শাকিব শাহরিয়ার, ময়মনসিংহ রেল বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী নারায়ণ প্রসাদ সরকার ও ময়মনসিংহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর এসআই আরিফুল ইসলাম। রবিবার (২৪ জুলাই) রাতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

তবে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি রেললাইনের পাশ থেকে এখনও সরিয়ে না নেওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। চলাচলরত ট্রেনের ঝাঁকুনিতে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি ধীরে ধীরে রেললাইনের দিকে সরে যাচ্ছে। ওই বাসের ওপর লাল পতাকা টানিয়ে রাখা হয়েছে।

স্থানীয় মাইজপাড়া এলাকার বাসিন্দা বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘দুদিন হতে চলেছে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি এখনও সরানো হয়নি। ট্রেন ও মানুষজন ঝুঁকি নিয়ে দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশ দিয়ে যাতায়াত করছে। এটি দ্রুত সরানো উচিত ছিল।’

একই এলাকার বাসিন্দা মোমেন হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনাকবালিত বাসটি রেললাইনের পাশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দুদিন হতে চললো- এখনও সরানো হয়নি।

ময়মনসিংহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী এ টি এম নাজমুল হক মৃধা বলেন, ‘যারা গেটম্যানের দায়িত্বে ছিলেন তারা দুর্ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি রেললাইনের কাছাকাছি হওয়ায় এটি সরানোর জন্য এসেছি। দুর্ঘটনার পর স্থানীয় রেলকর্মীরা গেটটি পরিচালনা করছেন।’

ঢাকা রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা আমিনুল হক বলেন, ‘পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটি আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন জমা দেবে। তদন্তের অংশ হিসেবে সোমবার কমিটির সদস্যরা প্রথম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে রেলওয়ের গেটম্যানের দায়িত্বে অবহেলা পাওয়া গেছে। গেটম্যান আল আমিনকে রবিবারই বরখাস্ত করা হয়েছে। নিহত হিসেবে হাসপাতাল থেকে আমরা তিন জনকে পেয়েছি। তবে স্থানীয় লোকজন বলছেন, স্থানীয় হাসপাতাল থেকে রেফার্ড করার পর আরও দুজন মারা গেছেন।’

প্রসঙ্গত, রবিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাইজপাড়া কমলাদিঘী এলাকায় চলন্ত ট্রেন শ্রমিকবহনকারী বাসটিকে ধাক্কা দিলে পাঁচ জন নিহত ও কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। নিহত তিন জন ট্রেনের ইঞ্জিনের সম্মুখভাগে বসা ছিলেন।