মারধরের ভিডিও করায় যুবককে পেটালেন ইউপি সদস্য

গাজীপুরে চুরির অভিযোগে এক যুবককে মারধর করার সময় ভিডিও ধারণ করায় আরেক যুবককে বেধড়ক মারধর করেছেন রাশেদুল হক নামে এক ইউপি সদস্য। তিনি সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। 

গত শুক্রবার (২৯ জুলাই) বিকালে গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর এলাকার বিকেবাড়ি (সিটপাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (১ আগস্ট) থেকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

বিকেবাড়ি (সিটপাড়া) এলাকার স্থানীয়রা জানান, তুচ্ছ বিভিন্ন বিষয়ে ইউপি সদস্য রাশেদুল হক যাকে খুশি তাকে মারধর করেন। বিচার সালিশের নাম করে নিরীহ লোকদের হয়রানি ও মারধর করেন। গত শুক্রবার বিকালে বিকেবাড়ি (সিটপাড়া) এলাকার একটি খোলা মাঠে এক যুবককে ধরে নিয়ে আসেন। মুরগি চুরির মিথ্যা অভিযোগে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। ওই মারধরের ভিডিও উপস্থিত এক যুবক ভিডিও ধারণ করায় ইউপি সদস্য রাশেদুল তাকেও লাঠি দিয়ে পেটান।

ভিডিওতে দেখা যায়, ইউপি সদস্য রাশেদুলের মারধরে এক যুবক মাটিতে বসে পড়েন। এ সময় একটি লাঠি দিয়ে ওই যুবককে মারধর করছেন ও গালাগালি করছেন। তিনি ওই যুবককে বলছেন, ‌‘ভিডিও করলি কেন?  আরও ভিডিও কর, তোর কাছে আর মোবাইল নাই’। ২৩ সেকেন্ডের ভিডিওতে ঘটনাস্থলে অনেককে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে ইউপি সদস্যকে থামানোর চেষ্টা করেননি কেউ।

মারধরের কথা স্বীকার করে রাশেদুল হক বলেন, ‘আমি একটা চোরের বিচার করছিলাম। ওই চোর এ পর্যন্ত সাতবার চুরি করে আমার কাছে ধরাও পড়েছে। চুরি করার অভিযোগে তাকে পিটিয়ে শাস্তি দেওয়ার সময় পাশ থেকে অপর একটি ছেলে ভিডিও করছিল। এ কারণে কারণে তাকেও মারধর করেছি। এ ঘটনায় আমি যদি অপরাধী হয়ে থাকি তাহলে আমাকে ফাঁসি দিয়ে দেন।’

ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হক মুসল্লী বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে এরকম কোনও ঘটনা আমার জানা নেই। তাছাড়া কেউ এসব বিষয়ে আমাকে অভিযোগ করেনি। তবে আপনি (সাংবাদিক) যেহেতু বলছেন আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো।’

জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন জানান, মিথ্যা চুরির ঘটনায় মারধরের বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।