প্লাস্টিক বর্জ্য থেকে তেল উৎপাদনে সহায়তা চাইলেন মেয়র আইভী 

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন নারায়ণগঞ্জের প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের একাধিক ওয়ার্ড পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে শহরের আলী আহম্মদ চুনকা পাঠাগারের পরীক্ষণ হলে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শীর্ষক একটি সভায় তিনি অংশ নেন। সভায় প্লাস্টিক থেকে জ্বালানি তেল তৈরির প্রকল্পে সহযোগিতার অনুরোধ জানান সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী।

সভায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, আমি শ্রীলঙ্কায় গিয়ে দেখেছিলাম ঘর থেকেই তিনটি আলাদা বিনে কীভাবে বর্জ্য সংরক্ষণ করা হয়। সেখান থেকে তাদের প্লাস্টিক, কাঁচ এবং কাগজ কিনে নেওয়া হয়। ওই ভিজিটের পর আমি আমার নারায়ণগঞ্জের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে কাজটি শুরু করেছিলাম। কিন্তু প্রকল্পটি বেশিদিন চালাতে পারিনি। অর্থ সংকটসহ নানা সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রায় ১৬-১৭টি ওয়ার্ডে নারীরা প্লাস্টিক সংগ্রহ করছেন। পরে এই ময়লাগুলো তারা সংগ্রহ করে ডাম্পিং স্পটে পৌঁছে দেয়। সেই প্লাস্টিক থেকে ফুয়েল তৈরির একটা প্ল্যান্ট বসানো হয়। কিন্তু মেশিনটি লোকাল ছিল, যে কারণে মার্কেট পর্যায়ে উৎপাদিত তেল আনা সম্ভব হয়নি। এখন আমি অনুরোধ করবো আপনারা যদি এই প্রজেক্টটি কনটিনিউ করেন, তাহলে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি এই প্রজেক্টটি যেন কন্টিনিউ করা হয়। তবে এটা যেন পরিবেশের কোনও ক্ষতির কারণ না হয়।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নগর পরিকল্পনাবিদ মঈনুল ইসলাম বলেন, সকাল ৯টায় নারায়ণগঞ্জে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন। প্লাস্টিক সংগ্রহের বিষয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করতে তিনি সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিসে যান। সেখানে গিয়ে কীভাবে বাসা বাড়ি থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য সংগ্রহ করা হয় সেটা দেখেন। পরে দুপুর ১টায় ১৮ নম্বর ওয়ার্ডেও একই উদ্দেশ্যে যান তিনি। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইউনিলিভারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাভেদ আখতার, হেড অব করপোরেশন শামীমা আখতার, ইউএনডিপির ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্ট ভ্যান এন গুয়েন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।